ঝাড়গ্রাম, 4 নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিদিনে নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন ! ঝাড়গ্রামে বিজয়া সম্মিলনী ও কৃতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি প্রীতম কুমার হালদার।
শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরের কুমোদ কুমারী স্কুলে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে জেলার কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনাও জানানো হয় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এদিনের বিজয়া সম্মিলনীর প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রীতম কুমার হালদার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামনি মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তথা ডিপিএসসি'র চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয় গুলির প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় প্রীতম কুমার হালদার বলেন, "কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধু বাংলা নয়, ভারতবর্ষ নয়; সারা পৃথিবী জুড়েই একটি গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আপনাদের বলছি, আমার যেটা মনে হয় আগামী দিনেই কন্যাশ্রীর হাত ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷" পরে প্রীতম কুমার হালদারকে মুখ্যমন্ত্রীর নোবেল পুরস্কার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী একটি যুগান্তকারী প্রকল্প যা নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে গবেষণা হয়। এই ধরনের প্রকল্পগুলি বিশ্বের দরবারে বেশি সমাদৃত হয়। সুতরাং, আমরা এটা বলতেই পারি আগামী দিনে আমাদের নেত্রী এমন বিরল সম্মান পাবেন এটা আমরা আশা করতে পারি ৷"
এই প্রথম নয়, এর আগেও তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী এমনকী রাজ্যস্তরের নেতা-মন্ত্রীদেরও বলতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নোবেল পুরস্কারের হকদার ৷ সম্প্রতি 'ইন্ডিয়া' জোট গঠনের পর তৃণমূলের তরফে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখও বলেছেন ৷