জলপাইগুড়ি, 29 এপ্রিল : বাড়ির ছেলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে হাসপাতালে । বাড়ির সবাই চিকিৎসাধীন । সৎকার করবার লোকের অভাবে দুদিন ধরে মৃতদেহ পরেই থাকল হাসপাতালে । এরপর আজ একই হাসপাতালে মৃত্যু হয় মৃত ব্যক্তির মায়েরও । অবশেষে জলপাইগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে ছেলে ও মায়ের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল শ্মশানে ।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে সপরিবারে করোনা আক্রান্ত জলপাইগুড়ি আনন্দপাড়ার রায় পরিবার ৷ বাড়ির বড় ছেলে শুভ্রজিৎ রায় করোনা আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । বাড়িতে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তাঁর মা ও বাড়ির ছোট ছেলে সুরেনজিৎ রায় । শুভ্রজিৎ এর বউও করোনা আক্রান্ত । এমন অবস্থায়, গত মঙ্গলবার মা ও ছোট ছেলে সুরেনজিৎ এর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ৷ সেই সময় পৌরসভার গাড়ি তাঁদের দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল ৷ একই হাসপাতালে মাকেও ভর্তি করা হয় । সেদিন থেকে ছোট ছেলের মৃতদেহ হাসপাতালেই ছিল, কারণ বাড়ির সবাই আক্রান্ত । মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে উত্তেজনাও ছড়ায় হাসপাতালে । এদিকে আজই চিকিৎসারত অবস্থায় মায়েরও মৃত্যু হয় । অবশেষে পৌরসভা থেকে দুজনেরই মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । তবে মৃতদেহ পরীক্ষা করে পরে জানা যায়, তাঁরা দুজনেই করোনা নেগেটিভ হয়ে গিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন : রাজ্যগুলির হাতে ভ্যাকসিনের 1 কোটি ডোজ রয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিন জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, আমরা মৃত ছেলে ও তাঁর মায়ের মৃতদেহ জলপাইগুড়ি মাসকালাইবাড়ি শ্মশানের সৎকার করব ।যেহেতু তাঁরা দুজনেই কোভিড পজিটিভ ছিলেন । তাই পৌরসভা আক্রান্তের সৎকারের কাজ করবেন বলে জানান তিনি ৷ পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই বাড়ির চারিদিক স্যানিটাইজ় করা হয় ৷