জলপাইগুড়ি, 28 সেপ্টেম্বর: এবার পুজোয় খরচার কথা না ভেবেই ঘুরে আসতে পারেন ৷ কারণ যাঁরা উত্তরে বেড়াতে যেতে চাইছেন ৷ তাঁদের জন্য সুখবর ৷ নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশন নেমে ডুয়ার্সে যেতে আর গাড়ি ভাড়া করার প্রয়োজন নেই। সরকারি বাসেই ডুয়ার্সে চলে যেতে পারবেন পর্যটকরা। উদ্যোগ নিল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এনজেপি (NJP) ষ্টেশনে চালু হচ্ছে হেল্পডেস্ক। সরকারি বাসে করেই পর্যটকরা ঘুরতে পারবেন জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো।
এই প্রথমবার শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (SJDA) নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশন থেকে পর্যটকদের ডুয়ার্স ভ্রমনের ব্যবস্থা করছে। এনজেপি স্টেশনে ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে পর্যটকদের জন্য হেল্পডেস্ক করতে চলেছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, কীভাবে যাবেন, কোথায় যাবেন, তার তথ্য দেবেন হেল্প ডেস্কে থাকা এসজেডিএ (SJDA)-এর কর্মীরা।
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, "আমরা এই প্রথমবার পর্যটকদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করছি। বাগডোগরা বিমানবন্দর ও নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনে পর্যটকদের জন্য হেল্প ডেস্ক করা হচ্ছে। সরকারি বাসের ব্যবস্থা থাকবে। সেই বাসে করে পর্যটকরদের প্রথমে নিয়ে আসা হবে জলপাইগুড়ি শহরের রাজবাড়ি পার্কে। সেখান থেকে তাঁদের ভামরিদেবী মন্দির, শিকারপুর চা বাগানের দেবী চৌধুরানী মন্দির ঘোরানো হবে। তারপর জল্পেশ জটিলেশ্বর মন্দিরে ঘোরানো হবে। আগামী 15 অক্টোবর থেকে 15 নভেম্বর পর্যন্ত বাস সার্ভিস থাকবে। এর জন্য একটা নুন্যতম প্যাকেজ করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তা ঘোষণা করা হবে।"
সৌরভ চক্রবর্তী আরও জানান, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যেখানে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলোতে প্রযটকদের নিয়ে যাওয়া হবে ৷ এরপর তাঁদের লাটাগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। এসজেডিএ (SJDA)-এর নতুন যে রিসর্ট হয়েছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। পুজোর আগেই সেই রিসর্ট চালু করে দেওয়া হবে। হেল্প ডেস্ক খতিয়ে দেখবে ষ্টেশন চত্ত্বরে থাকা ভাড়ার গাড়ি গুলো পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে কি না। এমনকী, তারা পর্যটকদের হেনস্থা করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: এই পুজোয় ডেস্টিনেশন হোক ইতিহাস বিজরিত বড়দিঘি চা বাগানের হেরিটেজ বড় বাংলো
জলপাইগুড়ি ট্যুর অপারেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সব্যসাচী রায় জানান, জলপাইগুড়িতে দর্শনীয় স্থানগুলো ঘোরানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরাও চাই পর্যটকরা জলপাইগুড়ির মন্দিরগুলো ঘুরে দেখুক, ইতিহাসকে জানুক।