জলপাইগুড়ি, 18 জানুয়ারি: সাংবাদিক সেজে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের চেষ্টা ৷ ধৃত তিন । তাদের মধ্যে দু'জন ভারতীয় একজন ভুটানের বাসিন্দা ৷ নাম সুভাষ ছেত্রী, পিটার রাই ও অর্জুন তিওয়ারি ৷ ভুটান থেকে শিলিগুড়িতে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের চেষ্টা করছিল তারা ৷ তার আগেই মালবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ৷
উত্তরবঙ্গের বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে গতকাল বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে হাতির দাঁত ও গন্ডারের খড়গ ৷ সুভাষ জলপাইগুড়ির বানারহাট, পিটার আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁর বাসিন্দা । ধৃত তিনজনকেই আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয় ।
উত্তরবঙ্গের বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত বলেন, "আমাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ভুটানের দিক থেকে তিনটি গাড়ি করে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারকারীরা আসছে । সেই মত আমরা টিম নিয়ে মালবাজার থেকে শিলিগুড়িগামী ৩১ নং জাতীয় সড়কে অপেক্ষায় ছিলাম ৷ দু'টি গাড়িকে তাড়া করে ধরা হয় । দুটি ভারতীয় TC নম্বরের গাড়ির ভেতরের একটি ব্যাগের থেকে একটি হাতির দাঁত, গন্ডারের খড়গ পাওয়া যায় । ধৃতদের কাছ থেকে প্রেস কার্ড পাওয়া গেছে । সাংবাদিক সেজে পাচার কাজ করা হচ্ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে । জেরায় জানা গেছে, অসম থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারই ছিল উদ্দেশ্য ৷ নেপালে পাচারের উদ্দেশে সেগুলি শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । তাদের থেকে আরও কয়েকজন অভিযুক্তের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।