জলপাইগুড়ি, 19 জুন: অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর তিন মামি এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসরে । তাও আবার একই আসনে ৷ জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনে সম্মুখসমরে চক্রবর্তী পরিবারের তিন গৃহবধূ । তিন জায়ের রাজনৈতিক রঙ একে অপরের থেকে আলাদা ৷ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও সিপিআইএম-এর প্রার্থী ৷ এতে অবশ্য তাঁদের সম্পর্কে এতটুকু ফাটল ধরবে না বলে দাবি মিমির মামিদের ৷ তাঁদের সবাইকেই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী ৷
যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা । তাঁর পরিবারেরই তিন সদস্য এ বার আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলের হয়ে নেমেছেন পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে ৷ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পাণ্ডাপাড়া এলাকার 17/155 নম্বর বুথ থেকে প্রার্থী হয়েছেন চক্রবর্তী পরিবারের তিন বৌমা । তাঁরা সম্পর্কে মিমি চক্রবর্তীর মামি ।
তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মিমির ছোটমামি পুনম চক্রবর্তী । সিপিএম দলের হয়ে লড়ছেন মেজোমামি পর্ণা নাগ চক্রবর্তী । আর কংগ্রেসের হাত ধরেছেন বাড়ির বড় বউ অর্থাৎ মিমির বড়মামি কান্তা চক্রবর্তী । পঞ্চায়েত নির্বাচনে একই পরিবারের তিন গৃহবধূর রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে এলাকায় তরজা তুঙ্গে ৷ সম্পর্কে তিনজনই মিমি চক্রবর্তীর মামি হওয়ার সুবাদে চক্রবর্তীর পরিবারের অন্দরের রাজনৈতিক লড়াইটা দেখার জন্য সবাই মুখিয়ে রয়েছেন । জানা গিয়েছে, তিন মামিকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ।
আরও পড়ুন: 'কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার কাজ কমিশনের নয়', সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন; মঙ্গলে শুনানি
তৃণমুল কংগ্রেসের প্রার্থী অর্থাৎ মিমির ছোটমামি পুনম চক্রবর্তী বলেন, "এই প্রথম রাজনীতিতে নামলাম । ভালোই লাগছে । আমাদের তিন জায়ের মধ্যে সম্পর্কের কোনও ফাটল ধরবে না । আমাদের সবার বন্ডিং খুব ভালো । আমাদের মধ্যে কোনও রেষারেষি বা রাগারাগি নেই ।"
এ দিকে, কংগ্রেস প্রার্থী তথা মিমির বড়মামি কান্তা চক্রবর্তী বলেন, "আশা করছি ভালোই ফল হবে ৷ আমাদের তিন জায়ের মধ্যে লড়াই হবে । তবে আত্মীয়দের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে ।"
আর মিমির মেজোমামি পর্ণা নাগ চক্রবর্তী জানান, "আমি সিপিআইএম দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছি । আমরা একই পরিবারের হলেও আমরা তিনজন আলাদা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বা মতাদর্শগত ভাবে আলাদা রাজনৈতিক দল করি ।"
চক্রবর্তী পরিবারের আরেক সদস্য তথা মিমির মামা রাম চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, "আমাদের পরিবার রাজনৈতিক পরিবার । এলাকায় আমাদের পরিবারের কাছে মানুষের অনেক চাহিদা । আমার বাবা অনিল চক্রবর্তী ও দাদা অসিত চক্রবর্তী এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন । আমাদের পরিবারের সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন । আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । রাজনীতির টানাপোড়েনের ফলে এই সম্পর্কে কোনও চিড় ধরবে না বলে আমি বিশ্বাস করি ।"
রাজনীতিতে হাতে খড়ির পরই যাদবপুরের মতো কঠিন আসনে এক লাখেরও বেশি ভোটে জিতে দিল্লির পথ ধরেছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ ৷ এ বার রাজনীতির ময়দানে তাঁর মামিরা ৷ তাও একই আসনে ৷ তাই তিন মামির একজন জিতলেই সাফল্যের হাসি ফুটবে মিমির পরিবারে ৷