ETV Bharat / state

Jalpaguri Primary School Problem: রোদ-বৃষ্টির মধ্যে চলছে পড়াশোনা; আবেদন করেও সংস্কার হয়নি বোলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

করোনা অতিমারির প্রকোপের অনেক আগেই ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের চাল ৷ পরবর্তী সময়ে করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ে স্কুল ৷ পরবর্তী সময়ে পড়ুয়ারা স্কুলে ফিরলেও, সংস্কার হয়নি ক্লাসরুম, এমনকি অফিসেরও ৷ এই পরিস্থিতিতে রোদ-বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করছে পড়ুয়ারা (Students Attend Classes Under Open Sky Due to Roofless Class-room in Jalpaguri) ৷

author img

By

Published : Aug 6, 2022, 4:27 PM IST

Students Attend Classes Under Open Sky Due to Roofless Class-room in Jalpaguri
Students Attend Classes Under Open Sky Due to Roofless Class-room in Jalpaguri

জলপাইগুড়ি, 6 অগস্ট: করোনার সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল ৷ মেরামতির জন্য অর্থও বরাদ্দ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ কিন্তু এখনও সংস্কার হয়নি জলপাইগুড়ি বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Students Attend Classes Under Open Sky Due to Roofless Class-room in Jalpaguri) ৷ ঝড়ে স্কুলের চাল, বারান্দা উড়ে গিয়েছে বহুদিন ৷ ক্লাস চলাকালীন বৃষ্টি এলে জল ঢুকছে ক্লাসরুমে ৷ আর তার মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের ৷ এমনকি শৌচালয় ব্যবহার করতে শিক্ষিকাদের যেতে হচ্ছে স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে ৷ এমনই বেহাল দশা বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷ এই মুহূর্তে স্কুলটির কোনও অফিস ঘরও নেই ৷ ফলে স্কুলের বারান্দায় বসেই কাজ করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের ৷

2019 অগস্ট মাসে ঝড়ে প্রথমবার স্কুলের বারান্দার চাল উড়ে গিয়েছিল স্কুলটির ৷ এরপর সংশ্লিষ্ট দফতরে তা সারাইয়ের আবেদন করা হয় ৷ অভিযোগ, কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি ৷ সেই ভাবেই চলতে থাকে স্কুল ৷ এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় দেড় বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায় স্কুল । 2020 জুলাই মাসে ঝড়ে নতুন করে তিনটি ক্লাসরুমের চাল উড়ে যায় ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলের বারান্দা, একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷

এই পরিস্থিতিতে স্কুল শুরু হলে, বিদ্যুৎ সংযোগ না-থাকার কারণে পড়ুয়াদের গরমে ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে ৷ অভিযোগ, মাঝে-মাঝে গাছতলায় পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৷ স্কুলের ছ’টি ক্লাসরুমের মধ্যে একটিতে ঝড়ে উড়ে যাওয়া স্কুলের টিন, কাঠ জমা করে রাখা হয়েছে ৷ আর তার মধ্যে তিনটি ঘরের চাল নেই ৷ বাকি দু’টি ক্লাসরুমে পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনা করাতে হচ্ছে ৷ একাধিকবার স্কুল শিক্ষা দফতর ও বিডিও অফিসের কড়া নেড়েও ক্লাসরুমগুলি মেরামতির ব্যবস্থা করতে না পারায়, আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিনারায়ন সিং ৷

স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিনারায়ন সিং বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন থেকে স্কুল ঘরের চাল নেই ৷ বাথরুমের দরজা নেই ৷ ফলে মহিলা শিক্ষিকাদের শৌচালয়ে যেতে হলে, স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে যান তাঁরা ৷ আমাদের কোনও অফিস ঘর নেই ৷’’

আবেদন করেও সংস্কার হয়নি বোলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

আরও পড়ুন: ইটিভি ভারতের খবরের জের ! খুলল 'বন্ধ' স্কুলের তালা

প্রসঙ্গত, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির জন্য শিক্ষা দফতর থেকে 1 লক্ষ 40 হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল মেরামতির জন্য ৷ কিন্তু, যে ঠিকাদারকে ওই স্কুল মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনি জানিয়ে দেন, ওই টাকায় স্কুল সংস্কার সম্ভব নয় ৷ এর পর বিষয়টি স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয় ৷ তিনি এর পর বিডিওকে এ নিয়ে লিখিতভাবে জানান ৷ বিডিও দফতর থেকে লোক পাঠানো হয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৷ অভিযোগ সেখানে ঠিকাদার পরিদর্শকদের জানান, 1 লক্ষ 40 হাজারে স্কুলের ভাঙা চাল এবং শৌচাগারের দরজা মেরামতির কাজ হবে না ৷ ওই ঠিকাদার পরিদর্শকদের প্রায় 3 লক্ষ টাকার উপর আনুমানিক একটা খরচের হিসাবও নাকি দিয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন: ক্লাসে ভর্তি হয়েও মেলেনি ইউনিফর্ম, সমস্যায় সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা

খরচ 3 লক্ষের উপর দেখানোয়, বিডিও অফিস থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরে নতুন বিল্ডিংয়ের সুপারিশ করে আবেদন জানানো হয় ৷ কিন্তু, এখানেই গলদ দেখা দেয় ৷ কোনও স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা না বাড়লে নতুন বিল্ডিংয়ের আবেদন মঞ্জুর করে না স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ কিন্তু, ঠিকাদারের দেওয়া হিসাবে মেরামতি খরচ দেখে নতুন বিল্ডিং তৈরির সুপারিশ করা হয় ৷ ফলে পুরো বিষয়টি নিয়মের জালে জটিল হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন, পড়ুয়া এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন শিক্ষিকার শুক্লা রায় ৷ তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন ৷

এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, আসল পরিস্থিতি ঠিক কী, তা যাচাই করেও দেখছে না স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ এই পরিস্থিতিতে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙ্গার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট পড়ুয়াদের ৷

জলপাইগুড়ি, 6 অগস্ট: করোনার সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল ৷ মেরামতির জন্য অর্থও বরাদ্দ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ কিন্তু এখনও সংস্কার হয়নি জলপাইগুড়ি বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Students Attend Classes Under Open Sky Due to Roofless Class-room in Jalpaguri) ৷ ঝড়ে স্কুলের চাল, বারান্দা উড়ে গিয়েছে বহুদিন ৷ ক্লাস চলাকালীন বৃষ্টি এলে জল ঢুকছে ক্লাসরুমে ৷ আর তার মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের ৷ এমনকি শৌচালয় ব্যবহার করতে শিক্ষিকাদের যেতে হচ্ছে স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে ৷ এমনই বেহাল দশা বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷ এই মুহূর্তে স্কুলটির কোনও অফিস ঘরও নেই ৷ ফলে স্কুলের বারান্দায় বসেই কাজ করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের ৷

2019 অগস্ট মাসে ঝড়ে প্রথমবার স্কুলের বারান্দার চাল উড়ে গিয়েছিল স্কুলটির ৷ এরপর সংশ্লিষ্ট দফতরে তা সারাইয়ের আবেদন করা হয় ৷ অভিযোগ, কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি ৷ সেই ভাবেই চলতে থাকে স্কুল ৷ এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় দেড় বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায় স্কুল । 2020 জুলাই মাসে ঝড়ে নতুন করে তিনটি ক্লাসরুমের চাল উড়ে যায় ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলের বারান্দা, একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷

এই পরিস্থিতিতে স্কুল শুরু হলে, বিদ্যুৎ সংযোগ না-থাকার কারণে পড়ুয়াদের গরমে ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে ৷ অভিযোগ, মাঝে-মাঝে গাছতলায় পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৷ স্কুলের ছ’টি ক্লাসরুমের মধ্যে একটিতে ঝড়ে উড়ে যাওয়া স্কুলের টিন, কাঠ জমা করে রাখা হয়েছে ৷ আর তার মধ্যে তিনটি ঘরের চাল নেই ৷ বাকি দু’টি ক্লাসরুমে পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনা করাতে হচ্ছে ৷ একাধিকবার স্কুল শিক্ষা দফতর ও বিডিও অফিসের কড়া নেড়েও ক্লাসরুমগুলি মেরামতির ব্যবস্থা করতে না পারায়, আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিনারায়ন সিং ৷

স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিনারায়ন সিং বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন থেকে স্কুল ঘরের চাল নেই ৷ বাথরুমের দরজা নেই ৷ ফলে মহিলা শিক্ষিকাদের শৌচালয়ে যেতে হলে, স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে যান তাঁরা ৷ আমাদের কোনও অফিস ঘর নেই ৷’’

আবেদন করেও সংস্কার হয়নি বোলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

আরও পড়ুন: ইটিভি ভারতের খবরের জের ! খুলল 'বন্ধ' স্কুলের তালা

প্রসঙ্গত, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির জন্য শিক্ষা দফতর থেকে 1 লক্ষ 40 হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল মেরামতির জন্য ৷ কিন্তু, যে ঠিকাদারকে ওই স্কুল মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনি জানিয়ে দেন, ওই টাকায় স্কুল সংস্কার সম্ভব নয় ৷ এর পর বিষয়টি স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয় ৷ তিনি এর পর বিডিওকে এ নিয়ে লিখিতভাবে জানান ৷ বিডিও দফতর থেকে লোক পাঠানো হয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৷ অভিযোগ সেখানে ঠিকাদার পরিদর্শকদের জানান, 1 লক্ষ 40 হাজারে স্কুলের ভাঙা চাল এবং শৌচাগারের দরজা মেরামতির কাজ হবে না ৷ ওই ঠিকাদার পরিদর্শকদের প্রায় 3 লক্ষ টাকার উপর আনুমানিক একটা খরচের হিসাবও নাকি দিয়েছিলেন ৷

আরও পড়ুন: ক্লাসে ভর্তি হয়েও মেলেনি ইউনিফর্ম, সমস্যায় সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা

খরচ 3 লক্ষের উপর দেখানোয়, বিডিও অফিস থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরে নতুন বিল্ডিংয়ের সুপারিশ করে আবেদন জানানো হয় ৷ কিন্তু, এখানেই গলদ দেখা দেয় ৷ কোনও স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা না বাড়লে নতুন বিল্ডিংয়ের আবেদন মঞ্জুর করে না স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ কিন্তু, ঠিকাদারের দেওয়া হিসাবে মেরামতি খরচ দেখে নতুন বিল্ডিং তৈরির সুপারিশ করা হয় ৷ ফলে পুরো বিষয়টি নিয়মের জালে জটিল হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন, পড়ুয়া এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন শিক্ষিকার শুক্লা রায় ৷ তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন ৷

এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, আসল পরিস্থিতি ঠিক কী, তা যাচাই করেও দেখছে না স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ এই পরিস্থিতিতে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে হচ্ছে বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙ্গার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট পড়ুয়াদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.