জলপাইগুড়ি, 16 জানুয়ারি: শিকারার আনন্দ নিতে এবার আর কাশ্মীরে ডাল লেকে (Kashmir Dal Lake) যেতে হবে না । আপনি গাজোলডোবাতেই শিকারার মজা নিতে পারবেন । শুধু তাই নয়, শিকারার বসে লোকসংগীত শুনতেও পারবেন পর্যটকরা । এর ফলে যেমন নৌকাচালকরা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবেন । তেমনই পর্যটকরা আরও বেশি আনন্দ পাবে বলে মনে করছে প্রশাসন (Shikara boat to run soon in Gajoldoba) ।
পর্যটকদের কাছে গাজোলডোবা একটা আকর্ষনীয় পর্যটনস্থল । বহু মানুষ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে আসে ৷ তাই আরও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়াতে কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলে এবার তিস্তা ব্যারেজের পাশে গাজোলডোবাতে শিকারা চালু করতে চলেছে পর্যটন দফতর । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প জলপাইগুড়ির গাজোলডোবায় 'ভোরের আলো' । সেই গাজোলডোবার জলাশয়ে পর্যটন দফতর শিকারা চালু করবে ।
গাজলডোবার জলাশয়ে ইতিমধ্যে 72টি নৌকা চলে ৷ এই নৌকাগুলিকে শিকারার রূপ দিতে চলেছে পর্যটন দফতর । এছাড়াও আগামী 5-6 মাসের শিকারা-সহ আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিতে চলেছে পর্যটন দফতর । ইতিমধ্যেই রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় 'ভোরের আলো'তে এসে জেলাশাসক, ও পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "গাজোলডোবায় শিকারা করা হচ্ছে । 72টি শিকারা করা হবে প্রথমে।" পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হবে এই বিষয়টি বলে দাবি মন্ত্রীর ।
এদিকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, "গাজোলডোবাতে 72টি নৌকা চলে। তাদের কো-অপারেটিভ করে দেওয়া হয়েছে । আমরা সবক'টিকেই শিকারার রূপ দেব । লোকশিল্পীরাও যাতে শিকারার বসে গান বাজনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে । তাতে করে পর্যটকরা শিকারায় বসে লোকসংগীত শুনতে পারবেন ।"
ডাল লেকের আদলে শিকারা চালানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটকদের পাশাপাশি গাজোলডোবার নৌকাচালকরা। নৌকাচালক পলাশ সন্ন্যাসী ও সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, "শিকারা চালু হলে আমাদের খুব ভালো হবে । পর্যটকরা বেশি আসবেন এখানে ।" পর্যটকদের দাবি, এখন থেকে কাশ্মীরের ডাল লেকের স্বাদ গাজলডোবাতে পাওয়া যাবে। পর্যটন দফতর যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে খুশি তারা ।
পর্যটক সৌরভ সাহা বলেন, "গাজোলডোবাতে এলে নৌকাবিহার না করে পারা যায় না। ডাল লেকের আদলে শিকারা চালু হলে এই এলাকার পর্যটন শিল্প বাড়বে । লোকেদের কাছে আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে জায়গাটি ।" ইতিমধ্যে এই গাজলডোবাতে নৌকাবিহারের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রকমারি পাখি দেখতে বহু পর্যটক আসেন । তাই পর্যটন দফতর চাইছে এই গাজোলডোবা পর্যটন কেন্দ্রকে এক অন্য রূপ দিতে ।
আরও পড়ুন: অরণ্যে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নতুন ডেস্টিনেশন গাজোলডোবায় নৌকাবিহার