জলপাইগুড়ি, 29 ডিসেম্বর: নতুন বছরের শুরুতেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দেশের শেষ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ইলেকট্রিক ট্রেন চালাবে রেল ।এবার থেকে হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে শিয়ালদাগামী দার্জিলিং মেল ইলেকট্রিকে ছুটবে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের হলদিবাড়ি থেকে রানিনগর সেকশনে রেললাইনে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ না-হওয়ার কারণে পুরো দার্জিলিং মেলটিকে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে চালানো যাচ্ছিল না। এই সেকশনে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ শেষ । খুব শিগগিরই ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে ট্রেন চালাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
ইলেট্রিফিকেশনের কাজ শেষ হওয়ায় পর আজ, শুক্রবার পরিদর্শনে আসেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রিন্সিপাল, চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রবিলেশ কুমার, কাটিহার ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার-সহ আরও আধিকারিকরা । এ দিন কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার বলেন, "আমাদের ডিভিশনে রানিনগর থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেললাইন সেকশনে ইলেকট্রিফিকেশন ছিল না । তার কাজ শেষ হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, "প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এসেছেন । আজ কাজের পরীক্ষা চলছে । পরিদর্শনের পরেই যে সব ভুল-ত্রুটি পাওয়া যাবে তা ঠিক করে নিয়েই সবুজ সংকেত পাওয়া যাবে ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর জন্য । আর কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ট্রেন চালাব । আশা করি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে রানিনগর পর্যন্ত ইলেকট্রিক লাইন চালু হয়ে যাবে । যে সমস্ত হল্ট স্টেশন রয়েছে, সেগুলোর সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে । পাশাপাশি জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে ।"
তাঁর কথায়, "টাউন স্টেশনে বাজার সরিয়ে অমৃত ভারত প্রকল্পের কাজ হবে । ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে । তাঁরা একটি জায়গা চাইছে ব্যবসা করার জন্য । বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ।"
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রবিলেশ কুমার জানান, ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর আগে পরিদর্শন করা হল । মূলত লাইনটি ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর জন্য নিরাপদ কি না, তা খতিয়ে দেখা হয় ৷ রানিনগর থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত পরিদর্শন করা হচ্ছে । ছোটখাটো কিছু ভুল-ত্রুটি আছে, তা শুধরে নিয়েই ট্রেন চালানো হবে । কাটিহার রেলওয়ে ডিভিশনের 90 শতাংশে ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ শেষ হয়েছে, বাকিটাও হয়ে যাবে ।
আরও পড়ুন: