ETV Bharat / state

দত্তক চা বাগানে খাদ্যসামগ্রী দিতে বাধা পুলিশের, অভিযোগ বারলার - দত্তক নেওয়া চা বাগানে খাদ্যসামগ্রী দিতে বাঁধা দিল পুলিশ , অভিযোগ জন বারলার

গতকাল জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা তথা আলিপুরদুয়ার লোকসভার সাংসদ জন বারলাকে দত্তক নেওয়া চা বাগানে যেতে বাধা দেয় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ । জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থেকে আলিপুরদুয়ারের বান্দাপানি চা বাগানে যেতে দেওয়া হল না সাংসদ জন বারলাকে ।

police intrupted john barla distributing food stuff to people
দত্তক নেওয়া চা বাগানে খাদ্যসামগ্রী দিতে বাঁধা দিল পুলিশ , অভিযোগ জন বারলার
author img

By

Published : Apr 13, 2020, 10:56 PM IST

জলপাইগুড়ি , 13 এপ্রিল : সাংসদের দত্তক নেওয়া বন্ধ চা বাগানের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে দিল না পুলিশ । গতকাল সাংসদকে আটকে দেওয়া হয় । আজ ট্রাক বোঝাই খাদ্যসামগ্রী থানায় এনে লুকিয়ে রাখে বীরপাড়া থানার পুলিশ । গতকাল জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা তথা আলিপুরদুয়ার লোকসভার সাংসদ জন বারলাকে দত্তক নেওয়া চা বাগানে যেতে বাধা দেয় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ । জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থেকে আলিপুরদুয়ারের বান্দাপানি চা বাগানে যেতে দেওয়া হল না সাংসদ জন বারলাকে ।

লকডাউনের জেরে রোজগার বন্ধ । দত্তক নেওয়া চা বাগানে খাদ্যসামগ্রী দিতে যাবার আগে পুলিশের বাধায় ফিরে আসতে হয় সাংসদকে ৷ এরপর আজ বান্দাপানির বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে পুলিশ খাদ্য সামগ্রী বোঝাই পিক আপ ভ্যান থানায় নিয়ে আসে ৷ অভিযোগ করেন বারলা । তিনি বলেন, এমন জায়গায় খাদ্যসামগ্রী রাখা হয়েছে যে কেউ যেন দেখতে না পারে ৷

আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে । তিনি গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে খাদ্যসামগ্রী গাড়িতে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানার অন্তর্গত কারবালা চা বাগান হয়ে রেতির জঙ্গল দিয়ে বান্দাপানি চা বাগানে যাচ্ছিলেন ৷ চা শ্রমিকদের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে । কিন্তু রেতির জঙ্গলের মধ্যে জলপাইগুড়ির বানারাহাট থানার পুলিশ ও জঙ্গলের ওপারের আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ তাঁকে আটকে দেয় ৷ অভিযোগ, আজ ফের খাদ্যসামগ্রী বোঝাই গাড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ৷ এরপর থানায় কেন খাদ্যসামগ্রীর গাড়ি নিয়ে আসা হল জানতে চান । কিন্তু বীরপাড়া থানার OC দেখা করেননি ।

সাংসদ বলেন, " আমার দত্তক নেওয়া চা বাগানের গ্রামে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য 2 টি গাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু জলপাইগুড়ির বানারহাট থানা ও আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থানা আমাকে যেতে দেয়নি । আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনেই সব কাজ করছিলাম । 2 টি গাড়িতে 2 জন করে আর একটি আমার গাড়িতে 3 জন ছিলাম । কিন্তু আমাকে অনুমতি নেই বলে আটকে দেয় । আজ বান্দাপানির বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী গাড়িতে করে নিয়ে যাবার সময় পুলিশ থানায় নিয়ে আসে । লকডাউনের সময় সবার খাবার দরকার । বন্ধ চা বাগানে অনেক কষ্টে মানুষজন । কিন্তু এখানে রাজ্য সরকার রাজনীতি করছে । বান্দাপানিতে এখনও কেউ গিয়ে খাবার দেয়নি । আমার দত্তক নেওয়া বন্ধ চা বাগানে খাবার পৌঁছাতে দিল না । আমি আজ পুলিশকে বলেছি আমি যাচ্ছি না খাদ্যসামগ্রী দিতে ৷ আপনারাই পৌঁছে দিন তাও পুলিশ সাহায্য করল না । বলেছিলাম তৃণমুলের লোকেরাই দিক তাও খাবারটা মানুষ পাক । যেখানে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করা হত সেখানে থেকে গাড়ি নিয়ে আসা হল । কাঁচামাল কিভাবে পুলিশ আটকে দিল ৷ "

এই প্রসঙ্গে আজ আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, "লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অনুমতি ছিল না জন বারলার ৷ তাই আটকানো হয় । জেলাশাসক, সংশ্লিষ্ট BDO বান্দাপানিতে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছেন । "

জলপাইগুড়ি , 13 এপ্রিল : সাংসদের দত্তক নেওয়া বন্ধ চা বাগানের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে দিল না পুলিশ । গতকাল সাংসদকে আটকে দেওয়া হয় । আজ ট্রাক বোঝাই খাদ্যসামগ্রী থানায় এনে লুকিয়ে রাখে বীরপাড়া থানার পুলিশ । গতকাল জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা তথা আলিপুরদুয়ার লোকসভার সাংসদ জন বারলাকে দত্তক নেওয়া চা বাগানে যেতে বাধা দেয় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ । জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থেকে আলিপুরদুয়ারের বান্দাপানি চা বাগানে যেতে দেওয়া হল না সাংসদ জন বারলাকে ।

লকডাউনের জেরে রোজগার বন্ধ । দত্তক নেওয়া চা বাগানে খাদ্যসামগ্রী দিতে যাবার আগে পুলিশের বাধায় ফিরে আসতে হয় সাংসদকে ৷ এরপর আজ বান্দাপানির বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে পুলিশ খাদ্য সামগ্রী বোঝাই পিক আপ ভ্যান থানায় নিয়ে আসে ৷ অভিযোগ করেন বারলা । তিনি বলেন, এমন জায়গায় খাদ্যসামগ্রী রাখা হয়েছে যে কেউ যেন দেখতে না পারে ৷

আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে । তিনি গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে খাদ্যসামগ্রী গাড়িতে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানার অন্তর্গত কারবালা চা বাগান হয়ে রেতির জঙ্গল দিয়ে বান্দাপানি চা বাগানে যাচ্ছিলেন ৷ চা শ্রমিকদের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে । কিন্তু রেতির জঙ্গলের মধ্যে জলপাইগুড়ির বানারাহাট থানার পুলিশ ও জঙ্গলের ওপারের আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ তাঁকে আটকে দেয় ৷ অভিযোগ, আজ ফের খাদ্যসামগ্রী বোঝাই গাড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ৷ এরপর থানায় কেন খাদ্যসামগ্রীর গাড়ি নিয়ে আসা হল জানতে চান । কিন্তু বীরপাড়া থানার OC দেখা করেননি ।

সাংসদ বলেন, " আমার দত্তক নেওয়া চা বাগানের গ্রামে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য 2 টি গাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু জলপাইগুড়ির বানারহাট থানা ও আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থানা আমাকে যেতে দেয়নি । আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনেই সব কাজ করছিলাম । 2 টি গাড়িতে 2 জন করে আর একটি আমার গাড়িতে 3 জন ছিলাম । কিন্তু আমাকে অনুমতি নেই বলে আটকে দেয় । আজ বান্দাপানির বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী গাড়িতে করে নিয়ে যাবার সময় পুলিশ থানায় নিয়ে আসে । লকডাউনের সময় সবার খাবার দরকার । বন্ধ চা বাগানে অনেক কষ্টে মানুষজন । কিন্তু এখানে রাজ্য সরকার রাজনীতি করছে । বান্দাপানিতে এখনও কেউ গিয়ে খাবার দেয়নি । আমার দত্তক নেওয়া বন্ধ চা বাগানে খাবার পৌঁছাতে দিল না । আমি আজ পুলিশকে বলেছি আমি যাচ্ছি না খাদ্যসামগ্রী দিতে ৷ আপনারাই পৌঁছে দিন তাও পুলিশ সাহায্য করল না । বলেছিলাম তৃণমুলের লোকেরাই দিক তাও খাবারটা মানুষ পাক । যেখানে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করা হত সেখানে থেকে গাড়ি নিয়ে আসা হল । কাঁচামাল কিভাবে পুলিশ আটকে দিল ৷ "

এই প্রসঙ্গে আজ আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, "লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অনুমতি ছিল না জন বারলার ৷ তাই আটকানো হয় । জেলাশাসক, সংশ্লিষ্ট BDO বান্দাপানিতে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছেন । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.