জলপাইগুড়ি, 8 জানুয়ারি : কোভিড টেস্টে অনীহা । গলার টুঁটি চেপে ধরে করোনা টেস্ট করাল পুলিশ । এমন ভাবেই কোভিড টেস্ট করানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে (Jalpaiguri Police allegedly forces people to test COVID) । জলপাইগুড়ি সদর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় মাস্কহীন ব্যক্তিদের করোনা টেস্ট করানো হয় । অনেকেই করোনা টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে অনিহা প্রকাশ করেন । সেই সময় জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ কর্মীরা এক মাস্কহীন এক বৃদ্ধকে ধরে নিয়ে আসেন করোনা টেস্ট করানোর জন্য । কিন্তু তিনি কোনভাবেই টেস্ট করাতে চাইছিলেন না । এরপর পুলিশকর্মীরা তাঁকে চেয়ারে বসিয়ে জোর করে করোনা টেস্ট করান ৷ অভিযোগ, তাঁর গলা চেপে ধরা হয় ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ ও সদর ব্লক প্রশাসন ।
জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ । শহরে প্রত্যেক এলাকায় মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন । সদর মহকুমাশাসক, সদর বিডিও ও পৌরসভার পক্ষ থেকে জনবহুল এলাকায় করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে । জেলায় মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা 19টি । জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকায় 3টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে 7 এবং 8 নম্বর ওয়ার্ডে ।
গতকাল পর্যন্ত জেলায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল 284 জন । প্রতিদিন গড়ে জেলায় 100 জন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ জেলাবাসীকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ জেলায় বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী করোনার টেস্ট ক্যাম্প করা হয়েছে প্রশাসন ও বিভিন্ন পৌরসভার পক্ষ থেকে । শহরের গান্ধি মোড় ও পান্ডাপাড়া এলাকায় দু'টি র্যাপিড টেস্ট সেন্টার করা হয়েছে । পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা জোর করে করোনার টেস্ট করাতে দেখা গেল পান্ডাপাড়া এলাকায় ।
কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, "যাঁরা টেস্ট করাতে চাইছেন না, তাঁদের জোর করেই টেস্ট করাতে হবে । তবে কাউকে টুঁটি চেপে টেস্ট করানো হচ্ছে না ।" জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা মাস্কহীনদের কোভিড টেস্ট করাচ্ছি । টেস্ট করিয়ে আজ দু'জনকে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে ।"
আরও পড়ুন : COVID Infected Doctor : করোনা আক্রান্ত হয়েও জরুরি বিভাগে ডিউটিতে চিকিৎসক, ক্ষোভ দেগঙ্গায়