জলপাইগুড়ি, 16 এপ্রিল: যখন রাজ্যজুড়ে তৃণমূল বিধায়করা পুলিশি নিরাপত্তায় ত্রাণ বিলি করছেন তখন BJP সাংসদ জন বারলাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে । এই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পুলিশ সুপার।
টানা তিন দিন ধরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 12 তারিখ থেকে একাধিকবার এই বিষয়ে অভিষেকবাবুকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেননি । কার্যত সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। আজও সাংসদের বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হয় তাঁকে। কিন্তু, প্রত্যেকেবারই ফোন কেটে দেন তিনি।
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলাকে টানা তিনদিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ তাঁর বাড়িতেই গৃহবন্দী করে রেখেছে বলে অভিযোগ । কিন্তু, কেন গৃহবন্দী করা হয়েছে? সংবাদমাধ্যমকে সে প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার। এদিকে গতকাল BJP সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়কেও জলপাইগুড়ি শহরে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু, বেছে বেছে কেন তাঁদের সঙ্গে পুলিশের এমন আচরণ তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন দুই সাংসদ। আজ তাঁর বাড়িতে আসা পুলিশ কর্মীদের জন বারলা প্রশ্ন করেন, কেন নজরদারি? সাংসদ জানান, পুলিশ কর্মীরাও তাঁর প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন।
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা এবং জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়ের অভিযোগ, মানুষ খেতে পাচ্ছে না, আর রাজনীতি করছে পুলিশ। যখন তৃণমূলের নাগরাকাটার বিধায়ক সুক্রা মুণ্ডা নাগরাকাটা থানার OCকে সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বণ্টন করছেন, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় ত্রাণ বিলি করছেন, কুমারগ্রামের বিধায়ক জেমস কুজুর প্রতিদিন ত্রাণ দিচ্ছেন, তাতে পুলিশের অসুবিধা নেই। বিরোধী দলের জন বারলা ও জয়ন্ত রায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই সমস্যা ।
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জান বারলার প্রশ্ন, "পুলিশ যখন আমাদের ত্রাণ বণ্টনে আটকানো ও গৃহব্ন্দী করে রাখা নিয়ে কিছুই বলতে পারছে না, তাহলে আটকেই বা রেখেছে কেন!"
জয়ন্ত রায় বলেন, "আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ হঠাৎ এত ভাবছে দেখে অবাক হচ্ছি। আসলে লকডাউনে তৃণমূল নেতাদের জন্য জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের আলাদা আইন আর BJP সাংসদদের জন্য আলাদা আইন!"