জলপাইগুড়ি, 5 মার্চ: ক্রেতা সেজে হাতির দাঁত পাচার রুখলেন বনকর্মীরা ৷ বহুমূল্য হাতির দাঁত-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের (Forest Department) বেলাকোবা রেঞ্জ। ধৃত হাতি দাঁত পাচারকারীর নাম মণিকান্ত গোয়ালা (32)। ধৃতের বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার ডিআরএম (DRM) অফিসের কাছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিন কেজি ওজনের একটি হাতির দাঁত। 15 লক্ষ টাকায় এই হাতির দাঁতটি বিক্রির ছক কষেছিল পাচারকারী ৷ বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের পক্ষ থেকে রবিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে (One Arrested on Ivory Recovered) ৷
জানা যায়, জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পায় অসম থেকে একটি হাতির দাঁত আলিপুরদুয়ার হয়ে 31 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়িতে আসছে বিক্রির উদ্যেশ্যে ৷ এই খবরের ভিত্তিতে বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত নিজেই ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে সেই পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঠিক হয় শিলিগুড়ি তিনবাত্তি মোড়ে হাতির দাঁতটি নিয়ে আসবে এবং 15 লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিন ফুট লম্বা ও তিন কেজি ওজনের এই হাতির দাঁতটি বিক্রি করবে।
এরপরই তিনবাত্তি মোড়ে সেই পাচারকারী একটি সিমেন্টের বস্তায় হাতির দাঁতটি নিয়ে বাস থেকে নামতেই তাকে ঘিরে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা।জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মণিকান্ত গোয়ালাকে। ধৃত মণিকান্ত গোয়ালা আলিপুরদুয়ারে জংশনের বাসিন্দা। আজ ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি এই চক্রের পিছনে আরও কেউ আছে কি না সেটা জানতে ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে চেয়ে বনদফতরের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে উদ্ধার হাতির দাঁত, গ্রেফতার 3
এর আগেও বেশ কয়েকবার বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত ক্রেতা সেজে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রোধে কাজ করেছেন। চলতি বছরে হাতির দাঁত উদ্ধার হওয়ার ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধৃতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখছে বনবিভাগ। প্রাথমিম ভাবে জানা গিয়েছে, অসম থেকে এই হাতির দাঁত আনা হচ্ছিল। অসমে এই উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁত কোথা থেকে আনা হল তাও দেখা হচ্ছে।