জলপাইগুড়ি, 6 জুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ভাইপো স্বপন বিশ্বাসের ৷ এখনও খোঁজ নেই কাকা দীপক বিশ্বাসের ৷ ছেলের খোঁজে ওড়িশার মর্গগুলিতে ঘুরছেন বৃদ্ধ বাবা ৷ মঙ্গলবার বিশ্বাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ ৷ আশ্বস্ত করলেন দীপকের বাবা নিতাই বিশ্বাসকে ৷ আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার বড়পুকুরি এলাকার ঘটনা ৷
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে স্বপন বিশ্বাস ও দীপক বিশ্বাস চেন্নাই যাচ্ছিলেন । সেখান থেকে কেরলে দিনমজুরের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল । তার আগেই সব শেষ ৷ ওড়িশার বালাসোরের কাছে ভায়বহ দুর্ঘটনা গ্রস্থ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ৷ তাতেই মৃত্য়ু হয়েছে ভাইপো স্বপন বিশ্বাসের ৷ এখনও নিখোঁজ কাকা দীপক বিশ্বাস । ভদ্রকের একটি মর্গে ভাইপো স্বপন বিশ্বাসের মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া গেলেও ওড়িশার কোনও মর্গে বা হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি কাকা দীপক বিশ্বাসের । বৃদ্ধা বাবাকে সন্তানের খোঁজ দিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ ৷ নিখোঁজ দীপক বিশ্বাসের বাড়িতে যান এদিন তিনি । দীপকের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন সবরকম সাহায্যের ৷
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের হাসপাতালে মমতা, বালোসোর দুর্ঘটনায় পীড়িতদের সাহায্যের আশ্বাস
এদিন বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে দেখা করেই কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ বলেন, "শামুকতলা থানা এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক স্বপন বিশ্বাসের মৃত্যু হলেও দীপক বিশ্বাসের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি । তাকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে । দুই একদিনের মধ্যে আশা করি সন্ধান পাওয়া যাবে ৷ পশ্চিমবঙ্গে যদি কাজ থাকত তাহলে ভিন রাজ্যে কাজে যেত না । ভিন রাজ্যে মানুষ কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছে । স্বপন বিশ্বাসের মৃতদেহ নিয়ে রওনা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জের, আজ ও আগামিকাল বাতিল বহু ট্রেন
জানা গিয়েছে, স্বপন তাঁর মাকে বলেছিলেন, আর এক বছর বাইরে কাজ করে বাড়িতে চলে আসবেন । বাড়ি থেকেই ব্যবসা করবেন । কিন্তু আর বাড়ি ফিরে ব্যবসা করা হল না । মাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না ৷ করমণ্ডল এক্সপ্রসের দুর্ঘটনা কেড়েছে তাঁর প্রাণ ৷ এদিকে দুর্ঘটনায় দুই সদস্যকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার ৷ নাতির দেহ মিললেও এখনও ছেলের হদিশ পাননি বৃদ্ধ নিতাই বিশ্বাস ৷ ছেলের খোঁজে বৃদ্ধ নিতাই বিশ্বাস ও এক আত্মীয় অসিত বিশ্বাস ওড়িশা রওনা দিয়েছেন ৷