ধূপগুড়ি, 2 অক্টোবর: নিখোঁজ নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হল ধূপগুড়ি থেকে । অভিযোগ, 11 বছরের ওই বালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করেন প্রতিবেশী এক যুবক ৷ এরপর তিনি বালিকার দেহ বস্তাবন্দি করে তা লোপাটের চেষ্টায় নদীতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ । ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি থানার এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ পুলিশ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ।
গত শুক্রবার ধূপগুড়ি ব্লকের ওই বালিকা বাড়ির পাশের গলি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । তার সন্ধানে পুলিশ স্নিফার ডগ নামিয়ে লাগাতার তল্লাশি চালায় । এরই মধ্যে রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার খগেনহাট এলাকায় ডুডুয়া নদীর পাশ থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয় । বস্তাবন্দি দেহের বয়স ও নিখোঁজ বালিকার বয়সে মিল থাকায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলায় গিয়ে মৃতদেহ খতিয়ে দেখে । পরে দুই জেলার পুলিশ নিজেদের মধ্যে কথা বলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
রবিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ি গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন । এই ঘটনায় ওই রাতেই এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত যুবক স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি ধর্ষণের পর ওই বালিকাকে খুন করেন ৷ এরপর দেহ বস্তাবন্দি করে সাইকেলে চাপিয়ে গ্রাম থেকে সাকোয়াঝোড়া 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডুডুয়া নদীতে ফেলে দেন । সেখানে দেহ ফেলে দিয়ে তিনি নিশ্চিত করেন যে, নদীর জলস্রোতে বস্তা ভেসে গিয়েছে কি না । তারপর সেখান থেকে শ্বশুরবাড়ি চলে যান তিনি ৷ ধৃত জেরার মুখে এই কথাগুলি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক নাবালক
অভিযোগ উঠেছে, ওই বালিকা নিখোঁজ হওয়ার দিনে তাঁর বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছিলেন ধৃত যুবক । কিশোরীর বাবার বন্ধু হিসেবে প্রায়শই তাঁর যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে ৷ ঘটনার দিন টাকার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত ওই বালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ ।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খাণ্ডবাহালে উমেশ গণপত ফোনে জানান, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট বলা যাবে ।