ধূপগুড়ি, 24 মে : নদীর দু'ধারে জ্বলছে দুই বন্ধুর দেহ । 19 মে, বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুর রামবানে সুড়ঙ্গের মধ্যে কাজ করার সময় হঠাৎ ধস নামে ৷ এতে চাপা পড়ে আটকে যান 10 জন শ্রমিক ৷ 21 মে সকলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন ধূপগুড়ি ব্লকের পাঁচজন যুবক । মঙ্গলবার সকাল 9টা নাগাদ সড়কপথে ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপাড়ায় এসে পৌঁছেছে ধূপগুড়ির মৃত পাঁচ শ্রমিকের মধ্যে যাদব রায় ও গৌতম রায়ের কফিনবন্দি দেহ (Last rituals of 2 Dhupguri labourer died in Ramban tunnel collapse performed)।
দেহ এসে পৌঁছতেই পরিবার, গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন । শেষবারের মতো নিজের গ্রামের ছেলেকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ । এরপর দেহ পরিবারের লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং বাড়িতে কিছুক্ষণ রাখা হয় দু'জনের কফিন ।
আরও পড়ুন : Dhupguri Workers Died : কাশ্মীর থেকে আসছে দীপকের নিথর দেহ, জানেন না মানসিক ভারসাম্যহীন দাদা ও বৃদ্ধ বাবা-মা
তবে দেরি না করে দেহ দু'টি নিয়ে যাওয়া হয় সৎকারের জন্য । সেখানেও দুঃসহ চিত্র । এই পশ্চিম মল্লিকপাড়া এলাকায় পোকোয়া নদীর দু'ধারে গৌতম এবং যাদবের দেহ জ্বালানো হয় । একই সঙ্গে দু'টি চিতা জ্বলছে দুই ধারে । এই বিরল ঘটনায় গোটা গ্রাম শোকে স্তব্ধ ৷
পরিবারের সদস্য-সহ গ্রামবাসীরা চাইছেন রাজ্য সরকার যেন এই পরিবারগুলির পাশে থাকে । এর সঙ্গে আর্থিক সহায়তার দাবি করছেন তাঁরা । যদিও রামবানের ডেপুটি কমিশনারের (Deputy Commissioner, Ramban) অফিস থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, "মাননীয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী মনোজ সিনহা নির্মাণকারী কোম্পানিকে প্রত্যেক মৃতের পরিবারপিছু 15 লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ 44 নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ মাননীয় গভর্নর তাঁর ত্রাণ তহবিল থেকে 1 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৷"
আরও পড়ুন : J-K Tunnel Collapse Death : জম্মু-কাশ্মীর টানেল দুর্ঘটনায় মৃত 10, কোম্পানিকে 15 লক্ষ ক্ষতিপূরণের নির্দেশ