জলপাইগুড়ি, 20 এপ্রিল: আরবি ভাষায় লেখা কোরান পড়তে অসুবিধা হচ্ছিল ৷ তাই আরবি কোরানের বাংলা অনুবাদ করে ফেললেন জলপাইগুড়ি শহরের সেন পাড়ার বাসিন্দা মজাহার উল হক । তাঁর বাংলা কোরান বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বলে জানালেন তিনি ৷
আরবি ভাষায় কোরান লেখা থাকায় অনেকেই পড়তে পারেন না । তার অর্থ বুঝতে পারেন না । তাই বাংলা ভাষাতেই কোরানের অনুবাদ করেছেন হাইস্কুলের শিক্ষক মজাহার উল হক । তাঁর যুক্তি, বাংলা ভাষায় কোরান পড়তে সুবিধা হয় এবং তার সারাংশও বুঝতে সুবিধা হয় । তিনি বলেন, আরবি বিদেশি ভাষা । কঠিন তার উচ্চারণ । ফলে আরবি ভাষায় লেখা কোরান পড়তে গিয়ে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হয় । আরবি শব্দের মানে বুঝতে না পেরে তার মর্মার্থও অনুধাবন করতে পারেন না তাঁরা । এই সব কারণেই আরবি ভাষায় লেখা কোরানের বাংলা অনুবাদ করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন জলপাইগুড়ির শিক্ষক ।
তাঁর দাবি, এটাই কোরানের প্রথম বাংলা অনুবাদ । শুধু তাই নয়, বাংলা তাঁর মাতৃভাষা হওয়ায়, বাংলায় অনুবাদ করার কারণে কোরানে ধর্মের যে বাণী দেওয়া আছে, তার অর্থ বুঝে পড়তে সুবিধে হয় বলে জানালেন তিনি । তাঁর বাংলাদেশের আত্মীয়-স্বজনরাও নাকি এই বাংলা ভাষার কোরান পেয়ে আপ্লুত । বাংলাতে কোরান পড়তে সুবিধা হচ্ছে বলে বাংলাদেশেও এই কোরানের চাহিদা বাড়ছে বলে জানালেন তিনি ।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা উচ্চ বিদ্যালয়ে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক মজাহার উল হক । ইসলাম ধর্মালম্বী হওয়ার কারণে তাঁর কোরানের প্রতি একটা আলাদা আনুগত্য রয়েছে । কোরানকে জানার আগ্রহ থাকায় একসময়ে বাজারে বাংলায় অনুবাদ করা কোরানের খোঁজ করেছেন ৷ তবে তা না পেয়ে নিজেই অনুবাদ করতে লেগে পড়েন । ইন্টারনেট ছাড়াও আলেম ওলেমারদের সাহায্য নিয়ে, প্রায় 6 মাস ধরে নিরলস প্রচেষ্টায় ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে শুদ্ধ বাংলায় কোরান অনুবাদ করেছেন মজাহার উল হক ৷
স্বামী বাংলা ভাষায় কোরান অনুবাদ করার খুশি মজাহার উল হকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম । তিনি আগে আরবিতে কোরান পড়তেন । কিন্তু তার অর্থ বুঝতে সমস্যা হত । এ বার কোরানের বাংলা তর্জমা পেয়ে খুবই সুবিধে হয়েছে বলে জানালেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: ফিরল চেনা ছবি, হাওড়া শহরে ঈদের নমাজে সামিল সাধারণ মানুষ