জলপাইগুড়ি, 3 মার্চ: জলপাইগুড়ি নদীভাঙন ও সেচ নিয়ে বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদরা কেন্দ্রীয় সরকারকে কোনও চিঠিই দেয়নি। বিজেপি শুধু মানুষ মারা রাজনীতি করে। বিজেপির বিধায়করা আগে কেন্দ্রকে চিঠি দিক। তারপর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করব বলে দাবি করলেন (Irrigation Minister Slams BJP MLAs), সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অন্যদিকে, কাজ না-করতে পারলে মন্ত্রীকে পদত্যাগ করার পরামর্শ জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরবঙ্গের নদীভাঙন ও সেচের কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্র আমাদের কোনওভাবেই সহযোগিতা করছে না। ফলে কাজ করা যাচ্ছে না। মালদার গঙ্গার ভাঙনে প্রায় 30 হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিজেপির বিধায়কদের বলতে চাই আপনারা আপনাদের বিধানসভা এলাকার মানুষদের বাঁচাতে অন্তত কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দিন।"
তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রে তো আপনাদের সরকার। কিন্তু বিজেপি বিধায়করা তা করছেন না। যদি কোনও বিধায়ক এমন চিঠি দেখাতে পারেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিক হিসেবে রাজ্যের তরফে যা টাকা দরকার আমরা দেব ৷" আগামী দুই মাসের মধ্যে সেচের জল সরবরাহ করা হবে। জমিজট কাটিয়ে মজে যাওয়া সেচখাল সংস্কার করে জল সরবরাহ হবে ৷ তার কাজ শুরু করতে চলেছে সেচ দফতর। সেই সমস্ত ক্যানেলগুলি পুনরুদ্ধার করে আজ থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই কাজের টেন্ডার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: 15 বছর পর সেচ দফতরে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সেচ দফতরের আধিকারিক ছাড়াও জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জলপাইগুড়ি জেলার সেচের জল সবরাহের জন্য জমিজট ও সেচ ক্যানেল সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি আরও জানান, ডুয়ার্সের বাতাবাড়ি সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হচ্ছে। এছাড়া কিলকট ইংডং ঝোড়া সেচ প্রকল্প, ঝুমুর ঘোড়াহাগা সেচ প্রকল্প-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ হচ্ছে ৷
আলিপুরদুয়ারের নারারথলির সেচ খালের কাজগুলি হচ্ছে । এই প্রকল্পের মাধ্যমের মোট 26 হাজার চাষি সেচের জলের সুবিধা পাবেন। যে জমিজটগুলো আছে তা কাটিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। এদিন মন্ত্রী জলপাইগুড়িতে বৈঠক করার পর ধূপগুড়িতে যান সেচের কাজের পরিদর্শনে। এদিন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায় চ্যালেঞ্জ করে বলেন, "যদি সেচমন্ত্রী কাজ করতে না-পারেন তাহলে তিনি পদত্যাগ করুন। তার একটা দফতর আছে ৷ সেই দফতরের মন্ত্রী হয়ে যদি সরকারের কাজ না-করতে পারেন তাহলে তার অব্যাহতি নেওয়া উচিৎ। আমাদের সাংসদ তহবিলের টাকা তারা কাজ করতে দেন না। জোড় করে আটকে দেন। আর এখন তারা ফান্ডের জন্য আমাদের দোষারোপ করছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর ব্যারেজে ছাড়া হল জল, তবে কি ফের বন্যা পরিস্থিতি ? কী বলছে সেচ দফতর