জলপাইগুড়ি,14 এপ্রিল : ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মিলন মেলার অনুমতি মিলল না (India And Bangladesh Milan Mela)। কারণ বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বিষাদে দুই বাংলার মানুষরা।
প্রতি বছর নববর্ষের আগের দিন জলপাইগুড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দু'দেশের মানুষের সাক্ষাতের জন্য কাঁটাতারের দু'পাশে মিলন মেলার আয়োজন করে দু'দেশের সরকার। করোনার জন্য দুই বছর মিলন মেলা বন্ধ থাকলে এবছর মেলা হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। নববর্ষের আগের দিনে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এপার বাংলার মানুষরা ওপার বাংলার মানুষদের উপহার প্রদান করেন কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়েই । কিন্তু প্রচুর মানুষের সমাগমের কথা চিন্তা করে এবার মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে । প্রতিবছরই পয়লা বৈশাখের আগের দিন ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য সীমান্তের কাঁটাতারের দুই পারের মানুষের সাক্ষাতের জন্য সীমান্তের নিয়ম কানুন শিথিল করা হয় । মিলন মেলায় ওপার থেকে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করে একে ওপরের ভাব বিনিময় করেন কাঁটাতারের দু'পাশে দাঁড়িয়ে । একে অপরকে কাঁটাতারের উপর দিয়ে উপহার সামগ্রীও তুলে দেন । মিলন মেলাকে কেন্দ্র করে ওপারে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা, তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় সদর, পুটিমারি থানার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এবং এপার বাংলার জলপাইগুড়ির জেলার রাজগঞ্জ থানার খালপাড়া, ভোলাপাড়া, ভাটপাড়া এলাকায় মানুষ সীমান্তে ভিড় করে ভাব বিনিময় করেন ৷
রাজগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, "বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশের তরফেও সীমান্তে ভিড় চাইছে না । তাই আমাদের প্রশাসন ও বিএসএফ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন মিলন মেলা করা যাবে না। তবে বৈশাখ মাসে একটা মিলন মেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন :মিলন মেলা হচ্ছে না ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে
বিএসএফের রাধাবাড়ি সেক্টরের 195 নং ব্যাটেলিয়ানের অন্তর্গত কুন্দন, ভোলাপাড়া, চাউলহাটি এলাকার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই মিলন মেলা চলে । এবার তা বন্ধ হওয়ায় বিষাদের সুর দুই বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে। করোনার কারণে এই মেলা দুই বছর বন্ধ ছিল। এবছর হওয়ার আশা থাকলেও তাতে জল ঢালল করোনার ভ্যাকসিন ।