জলপাইগুড়ি, 12 ডিসেম্বর: ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতির ঝুলন্ত দেহ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির বারপাটিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নাথুয়ার চরের ঘটনা । মৃতরা হলেন বেচারাম দাস (65) রাধারাণী দাস (60)। দম্পতির বড় মেয়ে রিনা সরকারের অভিযোগ, তাঁর বাবা-মাকে খুন করা হয়েছে । অভিযোগের তীর মৃতের জামাই এর বিরুদ্ধে । যে ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই দুই দম্পতির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে সেই ঘরের ভিতরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
মৃত দম্পতির বড় মেয়ের অভিযোগ, তাঁর ছোট বোনের স্বামী এই কাজ করেছে ৷ তাঁর কথায়, " ছোট বোন মাঝে মাঝে শ্বশুর বাড়ি চলে আসতেন ৷ সঙ্গে স্বামীও আসতেন ৷ তা নিয়েই মাঝে মাঝে অশান্তি হত ৷ সোমবারও ছোট বোনের স্বামী রতন চন্দ্র দাস শ্বশুর বাড়ি আসেন ৷ বাড়িতে এসে হুমকি দেয়। মেয়েকে প্রশ্রয় দিয়েই এমন করেছে বলে অভিযোগ সে। মেয়ে কোথায় আছে সেটা নাকি বাবা জানে। তা নিয়ে আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে অশান্তি হয় ৷" তখনই হয়ত বাবা-মা’কে খুন করে বলে অভিযোগ রিনা সরকারের ৷ ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিস দেখে এমনটাই মনে করছেন তিনি । যদিও এদিন অভিযুক্ত রতন দাসকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি । তবে রতন দাসের ছেলে বিশাল দাস বলেন, "বাবার সঙ্গে দাদু-দিদার একটা ঝামেলা হয়েছিল । কিন্তু বাবা দাদু ও দিদাকে মারেনি ৷ বাবা বাড়িতে নেই ৷ সকালে ফোন করে জানিয়ে ডাক্তার দেখাতে গেছে ৷"
স্থানীয় পুলিশ এসে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি গভ :মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ । কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, "আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ।"
আরও পড়ুন: