জলপাইগুড়ি, 26 অগস্ট: জলপাইগুড়ি পৌরসভার 25 নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনিতে জলবন্দি বহু মানুষ। লাগাতার বৃষ্টির ফলে জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক এলাকায় জল জমেছে। করলা নদীর জল জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বরূপ মণ্ডলের নেতৃত্বে রেসকিউ টিম উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে।
পাহাড়ে অনবরত বৃষ্টির ফলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে করলা নদী। শুক্রবার বিকেল থেকেই জলপাইগুড়ি শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা এই নদীর জল বাড়তে শুরু করে। বেড়েছে তিস্তা নদীর জলও। করলার জলে প্লাবিত শহরের 25 নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনির প্রায় 350 পরিবার ৷ 1 নম্বর ওয়ার্ডের একাংশেও করলার জল ঢুকেছে। প্লাবিত এলাকায় জল আরও বাড়তে পারে। এমনটা জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার চলছে। সাধারণ মানুষকে উঁচু জায়গায় চলে আসার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি 1 ও 3 নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় করলা ও তিস্তা নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে ।
করলা নদীর জল দিনবাজার এলাকা দিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সামনে জল ঢুকতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, প্রশাসনিক ভবনের সামনেও জল জমতে শুরু করেছে। ব্লাড ব্যাংকের সামনের পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। এক কোমর জল ডিঙিয়ে সদর হাসপাতালের ভিতরে যেতে হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন রোগী থেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তবে এখন কিছুটা জল কমতে থাকায় খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শহরবাসী। করলা নদীর পাশে বাঁধ না-থাকায় এই দুর্ভোগ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর পর এতটা বাড়ল জলস্তর ৷ জলপাইগুড়ি পৌরসভার 25 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌষালি দাস বলেন, "করলার নদীর জল ঢুকে 350টি পরিবার জলমগ্ন হয়েছে। দুর্গতরা ফ্লাড শেল্টারে ও রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। সকলের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গবাদি পশুও রয়েছে। এমন সময় পাশে দাঁড়ানোটা আমার কর্তব্য।
আরও পড়ুন: ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, লাল সতর্কতা জারি এই জেলাগুলিতে