জলপাইগুড়ি, 10 জানুয়ারি: দক্ষিণবঙ্গে শীতের তেমন দাপট নেই ৷ তবে উত্তরবঙ্গে চালিয়ে খেলছে আবহাওয়া ৷ যার ফলে ক্রমশ নামছে পারদ ৷ শীতে একেবারে যুবুথুবু অবস্থা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্সের ৷ কিন্তু ঠান্ডায় সব থেকে বড় চিন্তার কারণ কুয়াশা ৷ শীত বাড়ায় কুয়াশার পুরু চাদরে ঢেকেছে উত্তরবঙ্গ ৷ আর এই ঘন কুয়াশার জেরেই কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা ৷ মানুষ তো দূরের কথা অন্য প্রান্ত থেকে আসা গাড়িকেও ঠিক করে দেখা যাচ্ছে না ৷ রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় তাই বেজায় বিপাকে পড়েছেন অ্যাম্বুলেন্স-সহ বিভিন্ন গাড়ির চালকেরা ।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মদুত খান ও প্রীতম মোহন্ত বলেন, "এখন প্রচণ্ড ঠান্ডা পরেছে । কুয়াশার জেরে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে । ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না । গাড়ি চালকদের বেশি সমস্যা হচ্ছে ৷ সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছে না । এর ফলে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যাচ্ছে ।"
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় জেরে যানচলাচল বিঘ্নিত হয় । সেই ধারা বজায় থাকে বুধবারও ৷ জানুয়ারি মাস পরে গেলেও এখনও পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে শীত না আসায় খানিকটা বিষন্ন ছিলেন উত্তরবঙ্গের মানুষ ৷ তবে গতকালের পর থেকে আজ পর্যন্ত তাদের আর সেই আপসোস রইল না ৷ গতকাল থেকে ঝাঁকিয়ে পড়া শীতে বেশ কাবু হয়েছেন ডুয়ার্সের মানুষ । বিশেষ করে রাতের বেলায় ঘন কুয়াশার জেরে শিলিগুড়ি থেকে অসমগামী 31 নম্বর জাতীয় সড়কে দূরপাল্লার যানবাহনগুলি বেশ বিপাকে পড়ছে। কারণ ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের । যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল যে পারদ যত নামবে দৃশ্যমানতা তত কমে যাবে ।
আলিপুরদুয়ার জেলার ভারত-ভুটান সীমান্তে বুধবার ঠান্ডার প্রকোপ রয়েছে বেশি । সঙ্গে বইছে শীতল হাওয়া ৷ যার ফলে আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা ৷ তবে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার জেরে বিপাকে পরেছে ট্রেন ও বাসের মতো যানবাহনগুলি । দৃশ্যমানতা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে পারছে না । এমনকী গতকাল সারাদিন ও আজ সকাল পর্যন্ত সুর্যের মুখ দেখা যায়নি উত্তরবঙ্গের এই জেলাগুলিতে । জলপাইগুড়িতে দিকে দিকে দিনেরবেলা মানুষকে আগুন জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে ৷ সেই আগুন হাত গরম করে নিচ্ছেন পথচলতি মানুষ ৷ কুয়াশায় ভিজেছে পথঘাটও ।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 11 ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল । বুধবার তা আরও নেমে 9 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে ৷ সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা ৷ এর দরুন অ্যাম্বুলেন্স চালকদেরও রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে সমস্যা হচ্ছে । ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার একটা আশংকা থেকেই যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন: