জলপাইগুড়ি, 18 মার্চ: পরিত্যক্ত মর্গ থেকে মৃতদেহের অংশ কুকুরে বের করে নিচ্ছে। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের পুরনো মর্গ এলাকায় (Dogs Take out Body Parts from an abandoned Morgue) ৷ এমন ঘটনা সামনে আসতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশের মধ্যে শুরু হয়েছে দায় এড়ানোর পালা।
অভিযোগ জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজের আবাসনের পাশে পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের সদর হাসপাতালের মর্গটি পুলিশ মর্গ বলে পরিচিত। পুরনো মর্গের কুলার খারাপ হয়ে যাওয়ায় তার পাশেই 2017 সালে নতুন করে একটি মর্গ চালু করা হয়। সেই মর্গটি হঠাতই বন্ধ করে দিয়ে সদর হাসপাতাল থেকে চার কিলোমিটার দূরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাশে আরেকটি মর্গ চালু করা হয়। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গ চালু করার ফলে সদরের নতুন মর্গটি ও পুরনো মর্গটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পুরনো মর্গটি খোলা অবস্থায় থাকায় কুকুর অনায়াসেই ঢুকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। মর্গটি পুলিশের হলেও সেটা স্বাস্থ্য দফতরের আওতাধীন।
মর্গের সামনেই জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মীদের আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে। প্রায়দিনই মর্গ থেকে দেহের অংশ কুকুরে বের করে নিচ্ছ বলে অভিযোগ করছেন আবাসনের কাজের শ্রমিকরা। মেডিক্যাল কলেজের আবাসন নির্মাণের কর্মীরা বলেন, "কখনও মৃতদেহের হাত কখনও নাড়ি-ভুড়ি বের করছে কুকুর। আমরা দূরে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছি। গন্ধের জ্বালায় খেতেও পারছি না।"
আরও পড়ুন: মর্গের গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত টিবি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে কর্মীদের
আনিকুল শেখ বলেন, "আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি এখানে। দেখি কুকুর শরীরের অংশ নিয়ে বের করছে এই ঘর থেকে। এসব দেখতে ভালো লাগে না। নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হচ্ছে। কুকুর যাতে ঢুকতে না-পারে তাই আমরা প্লাস্টিকের বস্তা দিকে মর্গের ঢোকার জায়গা আটকে দিয়েছি। যা বের করেছিল তা মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে দিয়েছি। আমরা বিষয়টি হেড মিস্ত্রীকে জানিয়েছি। এইভাবে চললে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব।" অন্যদিকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি (MSVP) ডাক্তার কল্যাণ খাঁ বলেন, "সদরের মর্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে এমন যদি ঘটনা ঘটে আমরা খতিয়ে দেখছি।"