জলপাইগুড়ি, 7 এপ্রিল : এখনই খোলা যাবে না চা বাগান । মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে স্বাগত জানাল উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথমঞ্চ । তবে, চা বাগান বন্ধ থাকলেও শ্রমিকরা যাতে সময়ে পূর্ণ মজুরি পান এবার সেই আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ।
উত্তরবঙ্গে চা বাগানের সঙ্গে জড়িত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক । লকডাউনের জেরে তাঁদের দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে এখন টানাপোড়েন । কারণ কাজ নেই । এদিকে ভিন রাজ্যে কাজ করা বহু শ্রমিক লকডাউনের আগেই চা বাগানে ফিরেছেন । ফলে তাঁদের থেকেও সংক্রমণের ভয় রয়েছে এলাকার চা বাগান শ্রমিকদের । পুরো বিষয়টি মাথায় রেখেই মুুখ্যমন্ত্রীর চা বাগান না খোলার নির্দেশকে স্বাগত জানাল উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথমঞ্চ । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের সংসার চলবে কীভাবে ? তাঁরা আয় করবেন কীভাবে? তাই চা শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে পূর্ণ মজুরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ।
যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক জিয়াউর আলম বলেন "বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় যা পরিস্থিতি তাতে এই মুহূর্তে চা বাগান খোলা ঠিক হবে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হয়েছে । চা শ্রমিকরা যাতে পূর্ণ সময়ের বেতন পান সেকথাও জানানো হয়েছে । এছাড়া চা শ্রমিক সংগঠনের জয়েন্ট ফোরাম রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে । "
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানগুলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান দিতে হবে। এলাকার সাধারণ মানুষকে রেশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে।