ধূপগুড়ি, 13 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে ব্যতিক্রমী জোট ৷ তৃণমূল গ্রামীণ ব্লক সভাপতির বুথে তৃণমূলের প্রার্থীকে পরাজিত করতে গাঁটছড়া বাঁধল শাসক-বিরোধী বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি ৷ সোমবার ধূপগুড়ির বিডিও অফিসে কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্নে মনোনয়নপত্রজমা দিলেন নিরবালা রায় ৷ এই বুথটি মহিলা সংরক্ষিত ৷ তিনি ধূপগুড়ির বারঘড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের খয়েরবাড়ির 15/165 নম্বর বুথের প্রার্থী ৷ তাঁকে সমর্থন করেছে স্থানীয় বিজেপি ও বাম নেতৃত্ব ৷
ধূপগুড়ির বারঘড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের খয়েরবাড়ির 15/165 নম্বর বুথের প্রার্থী নিরবালা রায় ৷ তাঁর ছেলে হরিশচন্দ্র রায় জানালেন, 2007 সাল থেকে তিনি এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন ৷ 2008 সালে এই বুথটি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, এরপর থেকে তাঁদের কাউকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি ৷ দীপু রায় গ্রামীণ ব্লক সভাপতি হওয়ার পরে বাকি সৌজন্যতাটুকুও মুছে গিয়েছে ৷
হরিশচন্দ্র রায়ের দাবি, তৃণমূলের চরমপন্থা রাজনীতিকে হঠাতে এলাকার মানুষ নিরবালা রায়কে সমর্থন করছেন ৷ এমনকী 1998 সালে তাঁর বাবা প্রয়াত ধরণীকান্ত রায় এই বুথ থেকে প্রথম নির্বাচিত তৃণমূল সভাপতি ৷ তারপর বুথটি ছেলে হরিশচন্দ্রের দখলে চলে যায় ৷ এবার মহিলা সংরক্ষিত বুথের প্রার্থী তাঁর মা নিরবালা রায় ৷
বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি একে অপরের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই পরিচিত ৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তাও বাম ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল ৷ বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয় ৷ তবে একেবারে অন্য ছবি ধরা পড়ল পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৷ জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দীপু রায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হল বাম-কংগ্রেস-বিজেপি ৷
এলাকার বাম নেতা ধীরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "এলাকায় তৃণমূলের ঔদ্ধত্য এবং দীপু রায়ের গ্রামীণ সভাপতি হওয়ার পর থেকে অখুশি এলাকাবাসী ৷" তাই প্রয়াত তৃণমূল নেতা ধরণীকান্ত রায়ের স্ত্রী নিরবালা রায়কে সমর্থন করছে স্থানীয় বাম নেতৃত্ব ৷ একই সুর এলাকার বিজেপি নেতা রতন রায়ের গলায় ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও তৃণমূলের অপসারণ চেয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: গোঁজ আটকাতে শেষবেলায় মনোনয়ন ! 17 জুনের বৈঠকেই চূড়ান্ত হতে পারে প্রার্থীতালিকা