জলপাইগুড়ি, 18 জুলাই: আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেফতার পরোয়ানা। অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি ও জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির ভট্টাচার্য দম্পতির আত্মহত্যার সুইসাইড নোটে নাম ছিল কয়েকজনের। এরই মধ্যে একজন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত 16 জুন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ সৈকতের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপর থেকেই জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যা পলাতক ।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার জানান, জোড়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলায় অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তদন্তের কারণেই এই মামলায় সৈকতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ার ভট্টাচার্য দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্না ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। দম্পতির আত্মহত্যার পর তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চার পাতার সুইসাইড নোট। সুইসাইড নোটে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, সোনালি বিশ্বাস, মনোময় সরকার, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:উত্তরে বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী ভুটান ও কেন্দ্রীয় সরকার, অভিযোগ সেচমন্ত্রীর
সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় সুইসাইড নোটে নাম থাকা চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন । কোতোয়ালি থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেবার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি । কিন্তু তারপর অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না-করায় কোলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিখা দেবী। হাইকোর্ট তদন্তভার দেন এডিজি কে জয়রামনকে। তিনি তদন্তে এসে তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেন। একে একে সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস, মনোময় সরকার গ্রেফতার হন। পলাতক মূল অভিযুুক্ত সৈকত পেশায় একজন আইনজীবী। তাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেই সৈকতকে জালে আনতে চাইছে পুলিশ।