শিলিগুড়ি, 19 মার্চ: কোরোনার প্রভাবে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে শুধুমাত্র হোটেল শিল্পে দৈনিক ক্ষতি 11 কোটি টাকা । এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক ঋন ও সরকারকে প্রদেয় নানা করের ক্ষেত্রে ছাড় ও বাড়তি সময় দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ সিকিম ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ।
শিলিগুড়িতে হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের তরফে রাজ বসু বলেন, ‘‘সিকিম সহ দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় 62 হাজার হোটেল রুম রয়েছে । ডুয়ার্সে হোটেলের রুমের সংখ্যা 8 হাজার । সব মিলিয়ে 70 হাজার হোটেল রুম খালি হয়ে গিয়েছে । পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভর করেই আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয় । এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণ শোধ করা সহ বিভিন্ন পরিষেবা কর মেটানো কার্যত অসম্ভব । গত কয়েকদিনে কোরোনা আতঙ্কে পর্যটকশূন্য বিস্তীর্ণ এলাকা । এই পরিস্থিতিতে একদিকে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের চাকরি অক্ষুন্ন রাখা অন্যদিকে ব্যাংক ঋণসহ বিভিন্ন পরিষেবা কর দেওয়া কার্যত অসম্ভব ।’’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘‘আমরা হিসাব করে দেখেছি শুধুমাত্র হোটেল শিল্পে দৈনিক গড় ক্ষতি 11 কোটি টাকা । গ্রামীণ পর্যটনসহ সঙ্গে এর সঙ্গে যুক্ত গাড়ি চলাচল এবং ট্যুর গাইড হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের ক্ষতি হিসাব করলে আর্থিক ক্ষতির অংক আরও বাড়বে । তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি এই সময় কালে এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পরিষেবা কর দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হোক নয়, বর্ধিত সময়সীমা দেওয়া হোক । ব্যাঙ্ক ঋণ শোধের ক্ষেত্রেও বর্ধিত সময় দেওয়া হোক ।’’
পর্যটন সংস্থা গুলি দাবি এর আগে পাহাড়ে দীর্ঘদিন চলা বনধ, এরপর NRC আতঙ্কে পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি এবং এখন কোরোনা আতঙ্কে সবমিলিয়ে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা পর্যটনে । এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাড়াতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে । ফলে এই সময়ে সরকারের তরফে ছাড় ও বর্ধিত সময় না দেওয়া হলে ব্যাঙ্ক ঋণসহ পরিষেবা করগুলি দেওয়া সম্ভব হবে না ।