শিলিগুড়ি, 25 এপ্রিল : কালিম্পঙের কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকার যে তথ্য দিয়েছে তা যাচাই করতে আজ কালিম্পঙে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ৷ কালিম্পং ঘুরে দেখেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ লকডাউন মানা হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা ৷
পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য অজয় গাঙ্গওয়ার জানান, জেলাশাসক ব্যস্ত থাকার কারণে তাঁদের সঙ্গে আসতে পারেননি ৷ আসেননি কোনও সরকারি আধিকারিকও ৷ তাঁরা এলাকা চেনেন না ৷ সেকারণে অসুবিধে হয়েছে ৷ কালিম্পঙের কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও রাজ্যের দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য তাঁরা এখানে এসেছিলেন ৷
আজ সকালে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পঙের উদ্দেশে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ৷ বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ কালিম্পঙে পৌঁছায় দলটি ৷
গতকাল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে বের হয় ৷ সেখানে লকডাউন মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন সদস্যরা ৷ বিকালে রেগুলেটেড মার্কেটে গিয়ে তাঁরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ এরপরই মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠিতে লকডাউন অমান্য করার তথ্য তুলে ধরেন ৷ এরপর আজ সকালে একটি বৈঠক সারেন ৷ সেই বৈঠকের পর তাঁরা ফের পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৷
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আজ সকালে ফের আসেন রেগুলেটেড মার্কেটে ৷ দিনের বেলায় সেখানে লকডাউন কতটা মানা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা ৷ সেখান থেকে কালিম্পঙের উদ্দেশে রওনা দেন ৷
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে কালিম্পঙে প্রথম কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে ৷ পরে ওই আক্রান্তের মৃত্যু হয় ৷ সেখানে আরও 10 জন কোরোনা আক্রান্ত হলেও বর্তমানে তারা সকলেই সুস্থ বলে খবর ৷ তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে সঙ্কটজনক এলাকার মধ্যে নাম ছিল কালিম্পঙের ৷ তাই কেন্দ্রীয় দল সেখানে যায় ৷
গতকাল শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য বিনিত যোশী জানান, ''পশ্চিমবঙ্গে লোকজন কম লকডাউন মানছেন রাজ্য সরকারের তরফেও অসহযোগিতা করা হচ্ছে ৷ তবে, আজ রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা ছিল ৷ আশা করি আগামী দিনেও থাকবে ৷"
উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনের পর গতকাল কেন্দ্রীয় দল মুখ্যসচিবকে যে চিঠিটি দেন, সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে সামান্য ধারণা তৈরি হয়েছে ৷ তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের পর আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব ৷ তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আশু পদক্ষেপ হিসাবে পরবর্তী সংক্রমণ রুখতে লকডাউন আরও কড়াভাবে কার্যকর হওয়া দরকার ৷ পরিস্থিতি নজরে রাখতে ও সরকারি নিয়মাবলিগুলি কতটা মানা হচ্ছে, সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে প্রয়োজন আরও ফিল্ড অফিসারের ৷
চিঠিতে আরও বলা হয়, 22 এপ্রিল ডিভিশনাল কমিশনার, দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে বৈঠকে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল ৷ যা এখনও পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সম্ভব হয়ে ওঠেনি ৷ পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার জন্য ফের একবার অনুরোধ করা হচ্ছে ৷ পরিস্থিতি সঠিকভাবে বুঝতে ও লকডাউন কার্যকর করার বহু তথ্য জানা প্রয়োজন ৷
চিঠির শেষে বলা হয়েছে, আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, যে তথ্যগুলি বিভিন্ন অফিসারদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, তা যেন শীঘ্রই পাঠানো হয় ৷ আমরা ডিভিশনাল অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি ৷