ETV Bharat / state

জাতীয় উদ্যানে ঢুকছে গবাদি পশু,অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের আতঙ্ক

বন্যপ্রাণীর জন্য সংরক্ষিত এলাকায় অবাধে ঢুকছে গবাদি পশু । আর এর ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । ইতিমধ্যেই জলদাপাড়া ও গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে ফুট মাউথ ডিজিজ যাকে খুরাই বলে সেই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে । সব কিছু দেখে শুনে এতদিনে কিছুটা টনক নড়ছে বনদপ্তরের ।

north bengal park and sanctuary
জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছে গবাদি পশু
author img

By

Published : Feb 22, 2020, 3:25 PM IST

Updated : Feb 22, 2020, 4:18 PM IST

জলপাইগুড়ি, 22 ফেব্রুয়ারি: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যগুলিতে অবাধে ঢুকছে গবাদি পশু । সব দেখে শুনেও নীরব দর্শক বনদপ্তর । লাগাম টানতে আসরে নামছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে একের পর গণ্ডার মারা যাবার ঘটনায় অ্যানথ্রাক্সের আতঙ্ক ছড়িয়েছে । গবাদি পশুর জঙ্গলে ঢোকার ফলে ইতিমধ্যেই জলদাপাড়া ও গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে ফুট মাউথ ডিজিজ যাকে খুরাই বলে সেই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে গিয়েছে। তারপরেও দর্শকের ভূমিকা বনবিভাগের ।

আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে,জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে,গরুমারা জাতীয় উদ্যান,চাপড়ামারি অভয়ারণ্য সহ উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে গবাদি পশুর আনাগোনা যেন নিত্যদিনের ব্যাপার । বনের পশুদের খাদ্যে ভাগ বসাচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বা বনবস্তি এলাকার গোরু । প্রতিদিন সকাল থেকে গোরুগুলিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । পরে আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এতদিন পর জঙ্গলে গোরুর প্রবেশের ওপর লাগাম টানতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের DFO নীশা গোস্বামী বলেন, জঙ্গলে গৃহপালিত পশু আসাটা সত্যিই একটা বড় সমস্যা । জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামের গোরু জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছে । আমরা জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের গৃহপালিত পশু ঢুকলেই মালিকদের জরিমানা করছি । তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি ।

এর আগেও গোরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ফুট মাউথ ডিজিজ বলে তা ধরা পড়েছে। গৃহপালিত পশু জঙ্গলে ঢোকার ফলে অ্যানথ্রাক্সের মত মারাত্মক রোগ হয়ে যেতে পারে বন্যপ্রাণীরা । খুরাই রোগ হলে বা অ্যানথ্রাক্স হলে মারাত্মক ব্যাপার হয়ে যায় । জঙ্গলের পশুদের এক এক করে ভ্যাক্সিনেশন করা সম্ভব নয় ফলে এ্যানথ্রাক্সের মত রোগ হলে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হয়ে যাবে। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে নামতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গলে ঢুকে বন্যজন্তুদের খাবার গোরু খেয়ে নিচ্ছে । এর ফলে হাতির খাবারে টান পড়েছে । হাতি জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে । গোরু জঙ্গলে বেশি ঢুকলে খুড়ের চাপে মাটি শক্ত হয়ে যায়। যার জন্য় গাছ বা ঘাস গজাতে সমস্যা হয় । এছাড়া গোরু-বাছুরের থেকে বন্যপ্রাণীদের অসুখ হতে পারে । জাতীয় উদ্যানে ও অভয়ারণ্য়ে গোরু চড়ানো বেআইনি । ইতিমধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া পঞ্চায়েতদের নিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ ।

জলপাইগুড়ি, 22 ফেব্রুয়ারি: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যগুলিতে অবাধে ঢুকছে গবাদি পশু । সব দেখে শুনেও নীরব দর্শক বনদপ্তর । লাগাম টানতে আসরে নামছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে একের পর গণ্ডার মারা যাবার ঘটনায় অ্যানথ্রাক্সের আতঙ্ক ছড়িয়েছে । গবাদি পশুর জঙ্গলে ঢোকার ফলে ইতিমধ্যেই জলদাপাড়া ও গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে ফুট মাউথ ডিজিজ যাকে খুরাই বলে সেই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে গিয়েছে। তারপরেও দর্শকের ভূমিকা বনবিভাগের ।

আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে,জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে,গরুমারা জাতীয় উদ্যান,চাপড়ামারি অভয়ারণ্য সহ উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে গবাদি পশুর আনাগোনা যেন নিত্যদিনের ব্যাপার । বনের পশুদের খাদ্যে ভাগ বসাচ্ছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বা বনবস্তি এলাকার গোরু । প্রতিদিন সকাল থেকে গোরুগুলিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । পরে আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এতদিন পর জঙ্গলে গোরুর প্রবেশের ওপর লাগাম টানতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের DFO নীশা গোস্বামী বলেন, জঙ্গলে গৃহপালিত পশু আসাটা সত্যিই একটা বড় সমস্যা । জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রামের গোরু জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছে । আমরা জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের গৃহপালিত পশু ঢুকলেই মালিকদের জরিমানা করছি । তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি ।

এর আগেও গোরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ফুট মাউথ ডিজিজ বলে তা ধরা পড়েছে। গৃহপালিত পশু জঙ্গলে ঢোকার ফলে অ্যানথ্রাক্সের মত মারাত্মক রোগ হয়ে যেতে পারে বন্যপ্রাণীরা । খুরাই রোগ হলে বা অ্যানথ্রাক্স হলে মারাত্মক ব্যাপার হয়ে যায় । জঙ্গলের পশুদের এক এক করে ভ্যাক্সিনেশন করা সম্ভব নয় ফলে এ্যানথ্রাক্সের মত রোগ হলে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হয়ে যাবে। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে নামতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গলে ঢুকে বন্যজন্তুদের খাবার গোরু খেয়ে নিচ্ছে । এর ফলে হাতির খাবারে টান পড়েছে । হাতি জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে । গোরু জঙ্গলে বেশি ঢুকলে খুড়ের চাপে মাটি শক্ত হয়ে যায়। যার জন্য় গাছ বা ঘাস গজাতে সমস্যা হয় । এছাড়া গোরু-বাছুরের থেকে বন্যপ্রাণীদের অসুখ হতে পারে । জাতীয় উদ্যানে ও অভয়ারণ্য়ে গোরু চড়ানো বেআইনি । ইতিমধ্যেই জঙ্গল লাগোয়া পঞ্চায়েতদের নিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ ।

Last Updated : Feb 22, 2020, 4:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.