জলপাইগুড়ি, 23 অগাস্ট : গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ৷ কিন্তু, তার মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাম্বুলেন্সই কোরোনা আক্রান্তদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ তার জেরেই বিপাকে পড়ছেন রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা ৷ এমনই অভিযোগ উঠে আসছে জলপাইগুড়ি জেলা জেলাজুড়ে ৷
সম্প্রতি, ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগানের গর্ভবতী এক মহিলাকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ৷ যেদিন ভর্তি করা হয় সেদিনই ললিতা ওরাওঁ নামে ওই মহিলাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ এরপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকেরা ৷ ফোন করা হয় 102 নম্বরে ৷ অভিযোগ, 102-এ বার বার ফোন করা হলেও কোনও সহোযোগীতা পাওয়া যায়নি ৷ প্রায় 7 থেকে 8 ঘণ্টা অপেক্ষা করেন রোগীর আত্মীয়রা ৷ কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি ৷ মেলেনি একটি অ্যাম্বুলেন্স ৷ রোগীর আত্মীয় কৃষ্ণা ওরাওঁয়ের অভিযোগ, "উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে পৌঁছাতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় ৷ অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি ৷ দুপুর 12 টা থেকে 102 নম্বরে ফোন করে যাচ্ছি ৷ প্রায় 19 বার মতো ফোন করি ৷ যত বার ফোন করেছি বলা হয়েছে আধ ঘণ্টার মধ্যে পাঠানো হচ্ছে ৷ কিন্তু, পাঠানো হয়নি ৷"
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি জেলায় গর্ভবতী ও শিশুদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মোট 28টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৷ তবে, জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় 20টি অ্যাম্বুলেন্স কোভিড রোগীদের আনার জন্য ব্যবহার করা হয় ৷ বর্তমানে 8টি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু রয়েছে ৷ অপরদিকে, নিশ্চয়যানের অধীনে রয়েছে 140টি অ্যাম্বুলেন্স ৷ কিন্তু, 102-এ ফোন করলে এই অ্যাম্বুলেন্স গুলোর পরিষেবা পাওয়া যায়না ৷ যার ফলে আরও সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ ৷
এবিষয়ে কথা বলা হয় জলপাইগুড়ি জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রুদ্রকুমার ইশ্বরারীর সঙ্গে ৷ তিনি বলেন, "অনেক অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে জেলা জুড়ে ৷ অ্যাম্বুলেন্সের কোনও সমস্যা নেই ৷ কিছু অ্যাম্বুলেন্স কোরোনা রোগীদের জন্য নির্দেষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৷ তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷ তবে, ওই প্রসূতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ প্রয়োজনে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে ৷"