জলপাইগুড়ি, 14 ডিসেম্বর: জমি দখলের অভিযোগ এবার খোদ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিরুদ্ধে। আর যার জেরে, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরকে ডেকে পাঠাল কোলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জমির মালিক। আগামী 9 ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমি সমস্যা সমাধানের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। জানা গিয়েছে, 2013 সাল থেকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করে আসছেন শিলিগুড়ির দুই বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের মামলাটি ওঠে।
মামলাকারি রতন লাল ব্রাক্ষ্মিন এবং কৃষ্ণা চক্রবর্তীর আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বলেন, "শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের হেড কোয়ার্টার যেখানে, সেখানে যে জমি আছে, তার একটা অংশ তেজেন্দ্র ব্রাক্ষ্মিণ ও কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। 2013 সাল থেকে জমির দাম চেয়ে দাবি করলেও কোনওভাবেই তারা বিচার পাচ্ছিলেন না। তাই তারা 2022 সালে সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।" সন্দিপ মণ্ডলের দাবি, মামলাকারিদের রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে মোট 98 ডেসিবেল জমি কমিশনারেট দখল করে আছে। অথচ জমিটি কমিশনারেটের নয়। বার বার তদ্বির করে গেলেও জমির মালিকরা সুরাহা পাচ্ছিলেন না। এদিন মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠলে বিচারপতি সাফ জানান, হয় জমিটি অধিগ্রহণ করতে হবে, নয়তো জমি কিনে নিতে হবে। আগামী 9 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশনার কী সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷
এদিকে অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চৌধুরী জানান, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাউন্ডারির মধ্যে একদিকে আট ডেসিবেল জমি তেজেন্দ্র ব্রাক্ষ্মিণের। যা বর্তমানে কমিশনারেটের মধ্যে ঢুকে আছে। এদিন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে আদালতে ডাকা হয়ছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী 9 ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমিটি হয় কিনে নিতে হবে, নতুবা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন