জলপাইগুড়ি, 8 মে : রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা ৷ কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই বানারহাট থানার পুলিশ তাঁকে আটকে দেয় বলে অভিযোগ । তার প্রতিবাদে তিনি রাস্তায় বসে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ৷ বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সামনেই রাস্তার পাশে একটি গাছের নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে মাল্যদান করেন তিনি ।
জলপাইগুড়ি জেলার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান এলাকার বাসিন্দা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা ৷ আজ সকালে বাড়ি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলেন । সেখানেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ এরপর চা বাগানের রাস্তার মাঝেই বসে পড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন তিনি ৷ এর আগেও আলিপুরদুয়ারের সাংসদকে তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে । এরপর সাংসদ নিজে না গিয়ে ত্রাণের গাড়ি পাঠালে তাও পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ । তারপর থেকে জন বারলাকে একপ্রকার গৃহবন্দী করার অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে । আজ ফের তাঁকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । তারই প্রতিবাদে বানারহাট থানার পুলিশের সামনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে মাল্যদান করেন তিনি । এরপর তিনি রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ তাঁর সঙ্গে আরও অনেক এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ৷
এই প্রসঙ্গে জন বারলা বলেন , "ভিন রাজ্যে প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছে । তাদের ফিরিয়ে আনার কোনও ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার । আমি বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছি ৷ কিন্তু কোনও সদুত্তর পাইনি । আগেও আমাকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় ৷ ফের আজ আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না । তাই বাধ্য হয়েই আমাকে অবস্থানে বসতে হয়েছে ।"