হাওড়া, 26 মে : যশের প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ৷ পাশপাশি বেড়েছে গঙ্গার জলস্তরও ৷ সকাল থেকেই দমকা হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ ৷ জলমগ্ন হয়েছে হাওড়ার বেশ কিছু এলাকা ৷ পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় , তাই হাওড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা দলও ৷ পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী অরূপ রায় ৷
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দুপুর 2.30 টে নাগাদ হাওড়া-সহ কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তার ফলে গঙ্গার জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ৷ তাই পরিস্থিতি সামলাতে গঙ্গার পাড়ে বসবাসকারীদের নিয়ে আসা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে ৷ করোনাবিধি মেনেই তাঁদের সেখানে রাখা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য আসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ৷ তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি হাতের মধ্যেই রয়েছে ৷ যশ মোকাবিলায় প্রস্তুত হাওড়া প্রশাসন ৷
প্রসঙ্গত, আজ সকালে ভার্চুয়াল এই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণ 24 পরগনার সাগরদ্বীপ, সুন্দরবন, পাথরপ্রতিমা, গোসাবার একাধিক নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলি ভেসে গিয়েছে ৷ দিঘা ও শংকরপুর সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় হাজারের বেশি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷ ওই এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন :ভেসে গিয়েছে বহু গ্রাম, নিরাপদে সরানো হয়েছে 15 লক্ষ মানুষকে : মমতা