হাওড়া, 8 মার্চ : বালির তৃণমূল প্রার্থী করা হয়েছে চিকিৎসক রানা চট্টোপাধ্যায়কে ৷ কিন্তু, প্রার্থী হিসেবে এমন একজনকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব, যিনি করোনার সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি ৷ সাধারণ রোগী তাঁর কাছে গেলে কোনও পরিষেবা পাননি ৷ এমনই অভিযোগ উঠেছে বালির তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৷ আর সেই অভিযোগেই তৃণমূল ছাড়লেন রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা তথা বালির 57 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর চৈতালি বিশ্বাস ৷
5 মার্চ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে ক্ষোভ বেড়েছে স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে ৷ তেমনি ক্ষোভ দেখা গেল বালির তৃণমূল প্রার্থী চিকিৎসক রানা চট্টোপাধ্যায়ের মনোনয়নকে ঘিরে ৷ তার জেরেই পদত্যাগের পাশাপাশি দল ছাড়লেন করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা চৈতালি বিশ্বাস ৷ তাঁর অভিযোগ এমন একজনকে বালি বিধানসভা থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, যে মানুষের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ায় না ৷ অভিযোগ, লকডাউনের সময় সংক্রমণের ভয়ে সাধারণ রোগীদের দেখতে অস্বীকার করেছিলেন রানা চট্টোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন : টিকিট না পেয়ে দল ছাড়লেন উত্তর 24 পরগনার দুই তৃণমূল নেতা
এখানেই শেষ নয়, চৈতালি বিশ্বাসের অভিযোগ তৃণমূলে তোষামোদকারীদের জায়গা রয়েছে ৷ কিন্তু, যাঁরা সাধারণ মানুষের জন্য সত্যিই কাজ করতে চান, তাঁদের কোনও গুরুত্ব দেয় না তৃণমূল ৷ প্রসঙ্গত, বালি পৌরসভার 57 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে এড়িয়ে এলাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের বসানো হয়েছে ৷ এই অপমান তিনি সহ্য করতে না পেরে তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ তবে, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কি ? এই প্রশ্নের কোনও নিশ্চিত কোনও জবাব চৈতালি বিশ্বাস দেননি ৷ সব মিলিয়ে তৃণমূলের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে এতদিন যে চাপা দ্বন্দ্ব ছিল ৷ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তা দিনের আলোর মতো সামনে আসতে শুরু করেছে ৷