হাওড়া, 1 অক্টোবর: উত্তর হাওড়ায় খটিক সমাজের একটি অনুষ্ঠানে এসে নাম না করে শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, "উনি যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আর তৃণমূলের সেকেন্ড এই কমান্ড তাই উনি হাঁচলে-কাশলেও কলকাতার সংবাদমাধ্যম সেটা নিয়ে খবর করছে। দিল্লি বা কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ ওঁকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবছেন না ।"
সম্প্রতি বিদ্যুৎ দফতরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ দফতরে বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে দেয় না। স্বাস্থ্য দফতরে ঢুকলে কী অবস্থা হয় সেটা সকলেরই জানা!" এরপর তৃণমূলের দিল্লি ধরনা নিয়েও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রাজ্যের বকেয়া একশো দিনের টাকা আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে চায় তৃণমূল। দিল্লি পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, "দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে মন্ত্রীর বাড়ির সামনের জায়গাটি নিয়ন্ত্রিত তাই ওখানে কোনও রমক আন্দোলন করা যাবে না। যন্তরমন্তরে বসার অনুমতি দিয়েছে । এর জন্য কাউকে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়নি। আমাকে অবশ্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সভা করতে কোর্ট থেকেই অনুমতি নিতে হয় ।"
এছাড়াও এদিন সিপিএমকে সরাসরি আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, "বিজেপির কেউ তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে যায়নি। কিন্তু সুজন চক্রবর্তীকে বলুন আগে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে বোঝাপড়া করে আসতে। বেঙ্গালুরুতে সিপিএমের লোকেরা চোরদের সঙ্গে বসে কফি, বিরিয়ানি খেয়ে আসছে! সিপিএম রাজ্যে বিরোধী ভোট ভাগ করে তৃণমূলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়। তাই সুজন চক্রবর্তীর মতো নেতারা রাজ্যে কুস্তির কথা বলেন আর ওঁর দলের নেতারা দিল্লিতে দোস্তির কথা বলেন।" রাজ্যপালকে প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, "রাজ্যপাল প্রমাণ করেছেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বা বিধানসভার নিয়ম চলবে না, সংবিধানের নিয়ম চলবে । তাই ধূপগুড়ির নির্বাচিত বিধায়ককে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন।"
আরও পড়ুন : বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার ও রাজ্যের দুর্নীতির শেষ দেখতে চায় আদালত, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর