কলকাতায়, 31 মার্চ: রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার হিংসার ঘটনায় সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক মদত দেখছে প্রশাসন ৷ এই অবস্থায় এলাকায় শান্তি স্থাপনে সক্রিয় নবান্ন ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় নবান্নের কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে এই হিংসার ঘটনার পিছনের রাজনৈতিক মদত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার নিন্দা করে সব পক্ষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের তরফ থেকে নবান্নে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে জানা গিয়েছে, গতকাল রামনবমীর মিছিলে বন্দুক, তলোয়ার, পেট্রল বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল । আর সেই কারণেই নবান্ন মনে করছে এই ঘটনার পিছনে সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক মদত রয়েছে । বিজেপি'র তরফ থেকে হাওড়ার এই ঘটনায় হিন্দুদের ওপর আক্রমণের যে তত্ত্ব আনা হচ্ছে তাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে ।
শুক্রবার, রাজ্যের প্রথম সারির একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বৃহস্পতিবারের ঘটনা ছিল একতরফা । এই ঘটনার সঙ্গে সংখ্যালঘুদের কোনও যোগ নেই । মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রমজানের উপবাসের মরশুমে শান্তির আবহে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে কেউ কেউ । সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তা, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না ৷ শাস্তির ক্ষেত্রে কোনও ধর্মীয় পরিচয়ই দেখা হবে না ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷
জানা গিয়েছে, শিবপুরে যে অঞ্চলে এই হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেখানে একাধিক দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ দোকান মালিকদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ প্রসঙ্গত, 29 ও 30 তারিখের ধরনা মঞ্চ থেকে একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালনের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেইমতো পুলিশকেও সতর্ক করেছিলেন তিনি । কিন্তু তারপরেও এই ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতার কথা পুরোপুরি উপেক্ষা করা যাচ্ছে না ।
আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কেন রামনবমীর মিছিল ? ভিডিয়ো পোস্ট করে বিজেপিকে তোপ অভিষেকের
বৃহস্পতিবারই এই ঘটনার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করতে চলেছে রাজ্য সরকার । একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুলিশকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজ ও ধর্মীয় গুরুদের সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷