হাওড়া, 17 অক্টোবর: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের পার্টি অফিসে পড়ল তালা । ঘটনাটি হাওড়া জেলার সাঁকরাইল থানা এলাকার বানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগঞ্জ এলাকার । ওই ব্লকের বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের খবর । পার্টি অফিসের দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায় । যদিও দুই গোষ্ঠীর দাবি যে অপরপক্ষ দলীয় কার্যালয়ের দখল নিতে চাইছে । এই ঘটনায় 4 জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । যদিও তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে হাওড়া আদালত ।
সূত্রের খবর, ওই এলাকার একটি জমি দখল করে সেখানে দলীয় কাজকর্ম পরিচালনা করছিলেন এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী । জমির দখল ফিরে পেতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করে বাড়ির মালিক । যা এখনও আদালতের বিচারাধীন । কিন্তু তারই মধ্যে ওই জমিতে শাসকদলের অনেক কর্মসূচি চালানো হচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে ।
সম্প্রতি বানীপুর-1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন শাসক দলেরই অন্য একগোষ্ঠী । এরপর বিডিওর নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি তৈরি হলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা রুজু করেন প্রাক্তন প্রধান । যা এখনও আদালতের বিচারাধীন । সেই ঘটনার জেরেই দুর্গাপুজোর মুখে এই পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা চালানো হয় বলেই দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক তৃণমূল কর্মী । তিনি বলেন, "এই বানীপুর -1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিজেদের হাতে রাখার জন্যই দলেরই দুটি গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে বারবার বিরোধে নামছে । এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে । উচ্চতর নেতৃত্বের অবিলম্বে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন ।"
আরও পড়ুন: জল জমে থাকায় হাওড়া পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের সমালোচনা তৃণমূল বিধায়কের
বানীপুর-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী আফরোজ আনসারি স্থানীয় এক মহিলা তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বিবাদমান অবস্থায় রয়েছেন । তিনি নিজেকে সভাপতি বলে দাবি করলেও ওই মহিলা কর্মী তাকে সভাপতি বলে মানতে নারাজ । বরং তিনি দাবি করছেন, এই এলাকায় তারাই দলের সব কাজকর্ম করেন । এরপরই বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে । ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ । পুলিশের সামনেও চলে ধাক্কাধাক্কি । এই ঘটনায় 4 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । যদিও ধৃতদের দাবি, এই ঘটনায় ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তাদের মিথ্যা মামলাতে ফাঁসিয়েছে । যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও পক্ষই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চায়নি ।