হাওড়া, 30 মার্চ: জ্বর, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ নিয়ে রোজই হাসপাতালে আসছে রোগীরা । অথচ হাসপাতালের নার্সদের জন্য নেই পর্যাপ্ত PPE (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । পাশাপাশি সেইসব রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে না রেখে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে । ফলে আতঙ্ক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে হাওড়া হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের । সেই কারণে আতঙ্কিত নার্সরা সোমবার দুপুরে নিরাপত্তা সরঞ্জামের দাবিতে হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে । বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন ৭৫ জনের মতো নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী । শীঘ্র এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে কাজ বন্ধ করার হুমকিও দেন তাঁরা ।
হাওড়া হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেশকিছু রোগী হাওড়া হাসপাতালে ভরতি হয়েছে । অথচ তাদের জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে । তাঁদের দাবি, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০টির মতো বেড রয়েছে । তা সত্ত্বেও জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হওয়া রোগীদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে না। এতে হাসপাতালের কর্মীরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। তাঁদের আরও অভিযোগ, ভিন রাজ্য থেকে আসা রোগীকেও সরাসরি জেনারেল ওয়ার্ডে ভরতি করা হচ্ছে । আর সবচেয়ে বড় বিষয় যে, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে PPE(পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার সরবরাহ করা হচ্ছে না । সব মিলিয়ে ক্ষুব্ধ এবং আতঙ্কিত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সোমবার হাওড়া হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ।
সুপার অবিলম্বে না ব্যবস্থা নিলে কাজ বন্ধের পথেই হাঁটবে বলে জানিয়েছেন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা । যদিও এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি হাওড়া হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ।