হাওড়া, 3 জুন : বেলা 1টা ৷ হাওড়া স্টেশন চত্বর ৷ বাইরে আর পাঁচটা দিনের মতোই ভিড় ৷ দেখলে বুঝতেই পারবেন না, দেশজুড়ে চলছে কোরোনা মোকাবিলা ৷ মানতে বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ৷ হাওড়া স্টেশনের বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মানুষ ৷ কোথাও রোদের জন্য সামাজিক দূরত্বের জন্য কাটা দাগের ভিতর রাখা রয়েছে ব্যাগ ৷ মানুষ ভিড় জমিয়েছে শেডের তলায় ৷ সেখানেও নেই সামাজিক দূরত্ব ৷
রেলের তরফে নেওয়া হচ্ছে না কোনও ব্যবস্থা ৷ কোনও RPF কর্মীকেও দেখা যায়নি পরিস্থিতি সামাল দিতে ৷ এমনই অভিযোগ করছেন স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা ৷ শুধু স্টেশন নয়, এই ভিড় পৌঁছে গিয়েছে হাওড়া ব্রিজের কাছেও ৷ কারণ, রেলের নির্দেশ অনুযায়ী স্টেশনে পৌঁছতে হবে দেড় ঘণ্টা আগে ৷ সেই মতো স্টেশনে পৌঁছালেও অনুমতি মিলছে না স্টেশনে প্রবেশ করার ৷ ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে স্টেশনে ঢুকতে দিচ্ছে রেলকর্মীরা ৷ তারপর থার্মাল স্ক্রিনিং বা বাকি যাবতীয় পরীক্ষা করা হলেও বাইরের এই ভিড়ে দাঁড়িয়ে থেকে কতটা কোরোনা থেকে বাঁচা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই ৷ প্রশ্ন উঠছে প্রশাসন ও রেলের দায়িত্ব নিয়েও ৷
হাওড়া স্টেশনে চালু হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল ৷ প্রতিদিনই হাওড়া স্টেশন থেকে চলছে দূরপাল্লার ট্রেন ৷ কিন্তু, লকডাউনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে স্টেশনের প্রবেশপথগুলো ৷
মাস্ক বা গ্লাভস পরে নিজেদের সুরক্ষার জন্য স্টেশনে হাজির হলেও সামাজিক দূরত্ব না থাকায় কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷ ভিড়ে দাঁড়িয়ে আতঙ্কিত বহু যাত্রীই ৷ কিন্তু, রেলের তরফে বা পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কোরোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই আতঙ্কিত স্টেশনের বাইরে উপস্থিত যাত্রীরাও ৷