হাওড়া, 1 অগাস্ট : রাজ্যের সবচেয়ে বেশি কোরোনা সংক্রমিত এলাকার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে হাওড়া । সংক্রমণ রোধ করা যেখানে প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । সেখানেই শেষ 4 দিনে হাওড়ায় সংক্রমিত 8 শতাধিকের বেশি মানুষ । হাওড়ায় কোরোনা সংক্রমিতের সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছে ।
ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদৌও হাওড়ায় কি সংক্রমণ রোধ সম্ভব ? এক্ষেত্রে যে হারে প্রশাসনিক কড়াকড়ি ও নজরদারির প্রয়োজন তা কি রয়েছে? শুধুমাত্র হাওড়া শহরেই একাধিক কনটেনমেন্ট জ়োন ৷ আর চোখে পড়ল প্রশাসনের হেলদোলহীনতা । কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলি যেন 'ফস্কা গেরো' র জ্বলন্ত উদাহরণ । সরকারি তালিকা অনুযায়ী, কনটেনমেন্ট জ়োনের মধ্যে পড়ে সীতানাথ বোস যেন, মাধব ঘোষ লেন, উপেন্দ্রনাথ মিত্র লেন । অথচ সবকটিতেই চোখে পড়ল প্রশাসনিক নজরদারির অভাব । হাওড়ার মতো অতিসংক্রমিত জেলার কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকা উচিত ৷ সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নজরদারি তো নেই । উলটে একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড রয়েছে নাম মাত্র । পাশে থাকা ফাঁক-ফোকর দিয়েই অবাধ যাতায়াত সাইকেল থেকে বাইক সবকিছুরই । সেই সঙ্গে হেঁটেচলে যাতায়াত তো রয়েছেই ।
অন্যদিকে, মাধব ঘোষ লেনের ছবিটা আরও মারাত্মক । ইচ্ছাখুশি মতো ব্যারিকেট নিজেরাই সরিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ থেকে বাইক আরোহীরা । নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই পুলিশকর্মীরাও । এমনকী খোদ জেলার প্রশাসনিক ভবনগুলি তথা জেলাশাসকের বাংলোর সামনের রাস্তা অর্থাৎ ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোডেও পুলিশের নজরদারির অবস্থাও তথৈবচ । নেই কোনও পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়র । ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোড ও মহাত্মা গান্ধি রোডের সংযোগস্থলের গোটা রাস্তাজুড়ে ব্যারিকেড থাকলেও একাংশ খোলা । নজরদারির অভাবে অবাধ যাতায়াত চলছেই ।
প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরার পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । ব্যতিক্রম নয় হাওড়াও । এই মুহূর্তে সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া । হাওড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা 7,750 । মৃতের সংখ্যা 199 ।