হাওড়া, 9 মে: সোমবার বঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন পরিচালিত 'দ্য কেরালা স্টোরি'র প্রদর্শন ৷ গতকাল নবান্নের নির্দেশ আসার পর থেকেই শহরের মলগুলিতে ছবি প্রদর্শন বন্ধ করা নিয়ে সক্রিয় হয় হাওড়া সিটি পুলিশ ৷ সোমবার সন্ধেয় হাওড়ার বেলুড়ের একটি মলে মাল্টিপ্লেক্সে যাঁরা 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন তাদের পুলিশ আটক করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক ৷
সোশাল মিডিয়ায় পাওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এই চলচ্চিত্র দেখতে আসা দর্শকদের কলার ধরে টানাটানি করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ধরনের ভিডিয়ো ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর যা নিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে বিজেপি। পাশাপাশি পুলিশের এহেন আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়াতেও। প্রকাশ্যে বহু মানুষ রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে।
পাশাপাশি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই জানান, এর আগে 'পিকে' সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর তাতে হিন্দু দেব-দেবীদের অপমান করা হলেও মুখ্যমন্ত্রী সেই সিনেমাকে নিষিদ্ধ করেননি। এছাড়াও উমেশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কোনও চলচ্চিত্র মুক্তি পেলে তার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কাজ রাজ্য সরকারের নয়। বরং রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্যের দায়িত্ব। পুরো ঘটনায় পুলিশ যেভাবে দর্শকদের সঙ্গে অসভ্য ব্যবহার করেছে সেটা নিন্দনীয়। এছাড়াও ওই মুহূর্তে পুলিশের কাছে লিখিত নির্দেশিকাও ছিল না বলেও দাবি করেন উমেশ।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ, কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে আইনি চিঠি বিবেক অগ্নিহোত্রীর
যদিও গতকালকের ঘটনার প্রেক্ষিতে বেলুড় থানা সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারা সিনেমা বন্ধ করতে যায়নি, যে সমস্ত দর্শক অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের টিকিটের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে একটা সমস্যা হয়, সেই কারণেই তারা সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়েছিলেন। তবে কী কারণে পুলিশ আধিকারিক দর্শকদের কলার ধরে টানাটানি করছেন সে বিষয়ে সদুত্তর পাওয়া যায়নি হাওড়া সিটি পুলিশের কাছ থেকে। আর যার ফলেই গতকালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে হাওড়া সিটি পুলিশের ভূমিকা ৷