হাওড়া, 7 অগাস্ট : নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে প্রকাশ্যে মদ্যপান ৷ প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বাসিন্দাকে হেনস্থা ৷ এমন কী খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ হাওড়ার মন্দিরতলার দক্ষিণ পাড়া এলাকার ঘটনা ৷ নিগৃহীত ওই ব্যক্তি স্থানীয় শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷
সোমবার (5 অগাস্ট) রাতে স্থানীয় বাসিন্দা অমিত সামন্ত (প্রাক্তন বক্সার)-র বাড়ির সামনে একটি টোটোতে বসে প্রকাশ্যে মদ্যপান করছিল চার যুবক ৷ দেখতে পেয়ে অমিতবাবু ওই যুবকদের মদ খেতে নিষেধ করেন ৷ অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় গালিগালজ শুরু করে ওই যুবকরা ৷ আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন অমিতবাবুর ছেলে অরিন্দম সামন্ত ৷ আসেন প্রতিবেশীরাও ৷ যুবকদের সঙ্গে বচসা বাধে অরিন্দমবাবুর ৷ উত্তেজনা ছড়ায় ৷ অমিতবাবু 100 নম্বর ডায়াল করেন ৷ ফোনের ওপার থেকে শ্রীপুর থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয় ৷ একটি নম্বরও দেওয়া হয় তাঁকে৷ ওই নম্বরে ফোন করলে শ্রীপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয় এখনই পুলিশ পাঠানো হচ্ছে ৷ এরই মধ্যে ওই যুবকরা ফোন করে আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠায় ৷ অন্য একটি টোটোতে করে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থানে আসে ৷ এতে স্বভাবতই সবাই ভয় পেয়ে যায় ৷ স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে ৷ এরই মধ্যে ওই যুবকদের একজন একটি মদের বোতলের ভাঙা টুকরো নিয়ে চড়াও হয় অরিন্দমবাবুর উপরে ৷ খুনের হুমকি দেয় ৷ পরিস্থিতি জটিল হতে দেখে ছেলেকে বাঁচাতে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে শূন্যে গুলি চালান তিনি । এতে ওই যুবকরা ভয় পায় ৷ পিছু হঠে তারা ৷
পরে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় অরিন্দমবাবুর পরিবারের তরফে । নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
তবে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে ৷ কারণ কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া পুলিশের যৌথ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ওই এলাকা ৷ সেই আঁটসাট নিরাপত্তার ফাঁক ফোকর দিয়ে কী ভাবে সেই এলাকায় প্রকাশ্যে মদ্যপান করা যায় তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।