হাওড়া, 19 অগস্ট: দু'বছর ধরে সেভাবে জমিয়ে জন্মাষ্টমী অনেকেই পালন করতে পারেননি (Krishna Janmashtami)। তাই এই বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তার প্রভাব পড়েছে মিষ্টির দোকানে (Janmashtami Celebration)।
এদিন সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানে রাজভোগ, কেশর ভোগ, কেশর রসগোল্লা, মালাই দই, আম দই, ফুলবেরি দই-সহ নানা ধরনের জন্মাষ্টমী স্পেশাল মিষ্টি (Janmashtami Sweet)তৈরি করেছেন ময়রারা। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এ বছরের বিক্রি স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে ৷ সমস্ত বিঘ্নকে উপেক্ষা করে সবাই ব্যস্ত মিষ্টির কেনাকাটি নিয়ে।
পেশায় চিকিৎসক সোনালি সিনহা রায় জানান, তিনি গোপালের জন্য এই দোকানের বিশেষ একটি থালি নিয়েছেন। এতে সমস্ত মিষ্টান্ন সাজিয়ে রাখা রয়েছে। তাঁর মা গোপালের মিষ্টান্ন ভোগ তৈরিতে সাহায্য করেন। আগের মতো দীর্ঘ সময় হাতে না থাকায় মিষ্টির দোকানগুলো সবচেয়ে ভরসার জায়গা বলে তিনি জানালেন ৷
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীর উপহার, 25 লাখের দোলনায় দুলবেন গোপাল
অপর এক গৃহিনী মধুমিতা বলেন, "একেবারে হাতে তৈরি জিনিস পাওয়ায় খুব সুবিধা হয়েছে। মালপোয়া নিয়েছি এখান থেকে।" মিষ্টি দোকানের বিক্রেতা সৈকত পাল জানান, শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় সমস্ত খাবার তাঁরা তৈরি করেছেন। মাখন, ননী থেকে শুরু করে নাড়ু, রাবড়ি সব কিছুই এখানে একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা একটি বিশেষ থালি তৈরি করেছেন তাতে ক্রেতাদের আলাদা করে কিছুই কিনতে হবে না। এই থালি কিনলেই তাঁরা একত্রে পেয়ে যাবেন। আর তাতে এবারে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণে তাঁরা এই ধরনের মিষ্টির থালি তৈরি করবেন বলেও জানিয়েছেন।