ETV Bharat / state

ত্রুটির জাঁতাকলে গতিহারা ডবল ডেকার আজ কারশেডের জঙ্গলে - mamata banerjee

প্রথম তিন-চার বছর চলার পর গতি হারিয়ে ফেলে ট্রেনটি । যাত্রী না হওয়ার সমস্যা ছিলই । পরে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া -ধানবাদ ডবল ডেকার । আজও পড়ে রয়েছে কারশেডে ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 18, 2019, 10:55 PM IST

হাওড়া, 18 জুলাই : স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই স্বপ্নের যাত্রাপথ তৈরি করতে শুরু হয় তোড়জোড় । 8 টা 35-এর ডবল ডেকার । সাইরেন বাজিয়ে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে পৌঁছে যাবে ধানবাদ । এযেন ট্রেন যাত্রীদের এক স্বপ্নের যাত্রা ।

2011 সালের 1 অক্টোবর । শুরু পথচলা । কিন্তু শুরুতেই হোঁচট । রেকের সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট দূরত্ব না থাকায় যাত্রাপথে বারবার বিপদ সংকেত দেখা দিল । তবে, দুরন্ত গতির ডবল ডেকারের গতি দিতে কোনওরকম খামতি রাখল না প্রশাসন । তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর তত্ত্বাবধানে যাত্রাপথের সমস্ত প্লাটফর্মগুলিকে কাটতে শুরু করা হল । কিন্তু তাও শেষরক্ষা হল না । ছেদ পড়ল স্বপ্নের যাত্রায় । বলা ভালো, গঠনগত ত্রুটি থাকার কারণে ডবল ডেকার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল রেল ।

চালু হওয়ার পর প্রথম প্রথম ট্রেনটি জনপ্রিয়তা পেলেও দেখা দিল গঠনগত ত্রুটি । মাত্র তিন-চার বছরের মধ্যে গতি হারিয়ে ফেলল ট্রেনটি । এছাড়া যাত্রী না হওয়ার সমস্যা তো ছিলই । এমনভাবে ট্রেনটিকে তৈরি করা হয়েছিল যা প্রচলিত প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর উপযুক্ত নয় । রেকের সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট দূরত্ব না থাকায় বিপদ সংকেত দিতে থাকে । তখনও হাল ছাড়েনি রেল । হাওড়া থেকে ধানবাদ যে পথ দিয়ে ট্রেনটি যেত সেই সমস্ত প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাটতে শুরু করা হয় । তাতেও দেখা দেয় সমস্যা । কারণ একটি ট্রেনের সুবিধা করতে গিয়ে অন্য ট্রেনগুলির সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের দূরত্বের গরমিল তৈরি হয়ে যায় । হোলি
ট্রিনিটি বন্ধ করা ছাড়া রেলের কাছে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না ।

দেখুন ভিডিয়ো

এরপর থেকে রেকটির ঠাঁই হয় হাওড়ার কারশেডে। এই বিষয়ে, হাওড়ার DRM ইশাক খান বলেন, "ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ত্রুটি থাকার কারণে একাধিকবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রেকটিকে । প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেত ট্রেনটি । তাই বাধ্য হয়েই রেলের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় ।" পাশাপাশি যাত্রী না হওয়ার সমস্যা তো ছিলই । কিন্তু এর মাঝেও কয়েকটি প্রশ্ন থেকে যায় । কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রেনটি তৈরি করার সময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এত ত্রুটি থেকে গেল কী করে ? উত্তর অবশ্য আজও পাওয়া যায়নি । আর ত্রুটির জাঁতাকলে গতিহারা ডবল ডেকার আজ কারশেডের জঙ্গলে কোনও এক অজানা ভবিষ্যতের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ।

হাওড়া, 18 জুলাই : স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই স্বপ্নের যাত্রাপথ তৈরি করতে শুরু হয় তোড়জোড় । 8 টা 35-এর ডবল ডেকার । সাইরেন বাজিয়ে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে পৌঁছে যাবে ধানবাদ । এযেন ট্রেন যাত্রীদের এক স্বপ্নের যাত্রা ।

2011 সালের 1 অক্টোবর । শুরু পথচলা । কিন্তু শুরুতেই হোঁচট । রেকের সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট দূরত্ব না থাকায় যাত্রাপথে বারবার বিপদ সংকেত দেখা দিল । তবে, দুরন্ত গতির ডবল ডেকারের গতি দিতে কোনওরকম খামতি রাখল না প্রশাসন । তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর তত্ত্বাবধানে যাত্রাপথের সমস্ত প্লাটফর্মগুলিকে কাটতে শুরু করা হল । কিন্তু তাও শেষরক্ষা হল না । ছেদ পড়ল স্বপ্নের যাত্রায় । বলা ভালো, গঠনগত ত্রুটি থাকার কারণে ডবল ডেকার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল রেল ।

চালু হওয়ার পর প্রথম প্রথম ট্রেনটি জনপ্রিয়তা পেলেও দেখা দিল গঠনগত ত্রুটি । মাত্র তিন-চার বছরের মধ্যে গতি হারিয়ে ফেলল ট্রেনটি । এছাড়া যাত্রী না হওয়ার সমস্যা তো ছিলই । এমনভাবে ট্রেনটিকে তৈরি করা হয়েছিল যা প্রচলিত প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর উপযুক্ত নয় । রেকের সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট দূরত্ব না থাকায় বিপদ সংকেত দিতে থাকে । তখনও হাল ছাড়েনি রেল । হাওড়া থেকে ধানবাদ যে পথ দিয়ে ট্রেনটি যেত সেই সমস্ত প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাটতে শুরু করা হয় । তাতেও দেখা দেয় সমস্যা । কারণ একটি ট্রেনের সুবিধা করতে গিয়ে অন্য ট্রেনগুলির সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের দূরত্বের গরমিল তৈরি হয়ে যায় । হোলি
ট্রিনিটি বন্ধ করা ছাড়া রেলের কাছে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না ।

দেখুন ভিডিয়ো

এরপর থেকে রেকটির ঠাঁই হয় হাওড়ার কারশেডে। এই বিষয়ে, হাওড়ার DRM ইশাক খান বলেন, "ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ত্রুটি থাকার কারণে একাধিকবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রেকটিকে । প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেত ট্রেনটি । তাই বাধ্য হয়েই রেলের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় ।" পাশাপাশি যাত্রী না হওয়ার সমস্যা তো ছিলই । কিন্তু এর মাঝেও কয়েকটি প্রশ্ন থেকে যায় । কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রেনটি তৈরি করার সময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এত ত্রুটি থেকে গেল কী করে ? উত্তর অবশ্য আজও পাওয়া যায়নি । আর ত্রুটির জাঁতাকলে গতিহারা ডবল ডেকার আজ কারশেডের জঙ্গলে কোনও এক অজানা ভবিষ্যতের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ।

Intro:দিনটা ২০১১ সালের ১ অক্টোবর। তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদির হাত ধরে যাত্রা শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডবল ডেকার ট্রেন। অর্থাৎ দোতলা রেক। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই ধাক্কা খায় এই ট্রেন। মাত্র তিন চার বছরের মধ্যে গতি হারিয়ে ফেলে ট্রেনটি। বলা ভালো, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ত্রুটি থাকার কারণে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় রেল। এছাড়া যাত্রী না হওয়ার সমস্যা তো ছিলই।


Body:চালু হওয়ার প্রথম প্রথম ট্রেনটি জনপ্রিয়তা পেলেও সমস্যা দেখা দেয় এর ইঞ্জিনিয়ারিং এ। হাওড়ার ডিআর এম ইশাক খান এর কথায়, গঠনশৈলীর ত্রুটি থাকার কারণে একাধিকবার সমস্যার সম্মুখীন হয় রেকটিকে। প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেত ট্রেনটি।তাই বাধ্য হয়েই সেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় রেলের তরফে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে ট্রেনটি কেমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যা প্রচলিত প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর উপযুক্ত নয়। ফলে যাত্রার প্রথম পর্বেই ধাক্কা খায় ট্রেনের গতি। রেকের সাথে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট দূরত্ব না থাকা বিপদ সংকেত দিতে থাকে। যদিও তখনো হাল ছাড়েনি রেল। যেখান ।যেখানে দিয়ে ট্রেনটি যেত সেই সমস্ত প্ল্যাটফর্ম কে কাটতে শুরু করা হয়। কিন্তু তাতেও দেখা দেয় সমস্যা। কারণ এই একটি ট্রেন এর সুবিধা করতে গিয়ে অন্যান্য ট্রেন গুলির সাথে প্ল্যাটফর্মের দূরত্বে গরমিল তৈরি হয়ে যায়। হোলি
ট্রিনিটি বন্ধ করা ছাড়া রেলের কাছে আর কোন রাস্তায় খোলা ছিল না। এরপর থেকে রেকটির ঠাঁই হয় হাওড়ার কারশেড। এর পাশাপাশি যাচ্ছি না হওয়ার সমস্যা তো ছিলই। কিছু এখানেই প্রশ্ন আছে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ট্রেনটি প্রস্তুত করার সময় তে ইঞ্জিনিয়ারিং এত ত্রুটি থেকে গেল কি করে। এর উত্তর অবশ্য আজও পাওয়া যায়নি। আর ত্রুটি যাঁতাকলে গতিহারা ডবল ডেকার কার সেডে দাঁড়িয়ে রয়েছে কোন এক অজানা ভবিষ্যতের অপেক্ষায়।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.