ETV Bharat / state

চায়ের দোকানের বচসার জের, হাওড়ায় যুবককে পেটানো হল ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে

একটি চায়ের দোকানে বচসার জেরে পেশায় দর্জি শেখ আবু সাহিদকে ল্যম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো হল ৷ অভিযোগ, পুলিশের সামনেই পুরো ঘটনাটি ঘটে ৷ যদিও নীরব ছিল পুলিশ ৷

kkk
চায়ের দোকানের বচসার জের, হাওড়ায় যুবককে পেটানো হল ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে
author img

By

Published : Aug 6, 2020, 4:19 PM IST

সাঁকরাইল,6 অগাস্ট : মৌরি রথতলার একটি চায়ের দোকানে সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে আজ সকালে এক নিরীহ যুবককে অমানুষিকভাবে মারধরের অভিযোগ ওঠে । আহত ওই যুবকের নাম শেখ আবু সাহিদ (২২) ৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

পেশায় দর্জি শেখ আবু সাহিদের বাড়ি সাঁকরাইল থানার আরগরি হালদারপাড়াতে । আজ ওই যুবক তার এক বন্ধুর সঙ্গে রানীহাটির কাছে একটি বাইকের শোরুমে যায় বাইক কেনার জন্য । সেখান থেকে তাদের বলা হয় লাঞ্চ টাইম চলছে তাই কিছুক্ষণ বাদে আসতে । সেখান থেকে বেরিয়ে তারা মৌরি রথতলায় একটি চায়ের দোকানে পৌঁছায় । শেখ আবুর বাইকের হ্যান্ডেল চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে লেগে । সেই থেকে শুরু হয় বচসা । সেই বচসা থেকেই তাদের দুজনকেই ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করা শুরু করে ওখানে উপস্থিত লোকেরা । অভিযোগ, শেখ আবু এবং তার বন্ধুকে মারধর করার পর,তার বন্ধুকে ছেড়ে শেখ আবুকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে আসা হয় নিব্রা মল্লিকপাড়ায় । সেখানে তাকে একটি ল্যাম্পস্টের সাথে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । এছাড়াও তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে । এছাড়াও খুলে দেওয়া হয় শেখ আবুর পরনের জামাও ৷ বেশ কিছুক্ষণ গণপিটুনি দেওয়া পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে দেখে চোর অপবাদ দিয়ে ওই অবস্থায় তাকে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় । ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ডোমজুর থানার পুলিশ । ঘটনাস্থলে এসেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ । অভিযোগ,পুলিশের সামনেই তাকে আবার হেনস্থা ও মারধর করা হয় । এরপরে তাকে ওখান থেকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয় । সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে ।

শেখ আবুর বন্ধু, বাড়ির লোক সহ এলাকার বাসিন্দারা মারধরের সঠিক কারণ কী তা জানতে পারেনি ৷ আপাতত তার চিকিৎসার টাকা এলাকার লোকেরাই জোগাড় করে চলেছেন । ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার খরচ প্রায় ২ লাখ টাকার মতো দাঁড়িয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর । এই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা তার পরিবারের নেই । তাই এলাকার মানুষ সকলে মিলে সেই অর্থের ব্যবস্থা করছেন । পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কিন্তু এই ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি ডোমজুড় থানার পুলিশ । পুলিশের এই ব্যাবহার নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে এলাকাবাসী ।

সাঁকরাইল,6 অগাস্ট : মৌরি রথতলার একটি চায়ের দোকানে সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে আজ সকালে এক নিরীহ যুবককে অমানুষিকভাবে মারধরের অভিযোগ ওঠে । আহত ওই যুবকের নাম শেখ আবু সাহিদ (২২) ৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

পেশায় দর্জি শেখ আবু সাহিদের বাড়ি সাঁকরাইল থানার আরগরি হালদারপাড়াতে । আজ ওই যুবক তার এক বন্ধুর সঙ্গে রানীহাটির কাছে একটি বাইকের শোরুমে যায় বাইক কেনার জন্য । সেখান থেকে তাদের বলা হয় লাঞ্চ টাইম চলছে তাই কিছুক্ষণ বাদে আসতে । সেখান থেকে বেরিয়ে তারা মৌরি রথতলায় একটি চায়ের দোকানে পৌঁছায় । শেখ আবুর বাইকের হ্যান্ডেল চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে লেগে । সেই থেকে শুরু হয় বচসা । সেই বচসা থেকেই তাদের দুজনকেই ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করা শুরু করে ওখানে উপস্থিত লোকেরা । অভিযোগ, শেখ আবু এবং তার বন্ধুকে মারধর করার পর,তার বন্ধুকে ছেড়ে শেখ আবুকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে আসা হয় নিব্রা মল্লিকপাড়ায় । সেখানে তাকে একটি ল্যাম্পস্টের সাথে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । এছাড়াও তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে । এছাড়াও খুলে দেওয়া হয় শেখ আবুর পরনের জামাও ৷ বেশ কিছুক্ষণ গণপিটুনি দেওয়া পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে দেখে চোর অপবাদ দিয়ে ওই অবস্থায় তাকে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় । ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ডোমজুর থানার পুলিশ । ঘটনাস্থলে এসেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ । অভিযোগ,পুলিশের সামনেই তাকে আবার হেনস্থা ও মারধর করা হয় । এরপরে তাকে ওখান থেকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয় । সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে ।

শেখ আবুর বন্ধু, বাড়ির লোক সহ এলাকার বাসিন্দারা মারধরের সঠিক কারণ কী তা জানতে পারেনি ৷ আপাতত তার চিকিৎসার টাকা এলাকার লোকেরাই জোগাড় করে চলেছেন । ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার খরচ প্রায় ২ লাখ টাকার মতো দাঁড়িয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর । এই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা তার পরিবারের নেই । তাই এলাকার মানুষ সকলে মিলে সেই অর্থের ব্যবস্থা করছেন । পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কিন্তু এই ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি ডোমজুড় থানার পুলিশ । পুলিশের এই ব্যাবহার নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে এলাকাবাসী ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.