হাওড়া, 4 সেপ্টেম্বর: হাওড়ার জগাছায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই তৈরি হয়েছে ডেঙ্গির (Dengue in Howrah) আঁতুড়ঘর ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নর্দমার জলেই দেখা মিলেছে ডেঙ্গির লার্ভার ৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে ন্যূনতম ব্লিচিং পাউডারও ছড়ানো হয় না। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল ও নর্দমার জল জমে যায় ।একপ্রকার চরম অব্যবস্থার চিত্রই চোখে পড়েছে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । প্রশ্ন উঠছে, খোদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশেপাশের পরিবেশ যদি এরকম হয়, তাহলে অন্য জায়গার পরিবেশ কেমন হবে !
মোটের উপর ডেঙ্গি নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এই এলাকাতেই দিন পনেরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছে দু'জনের। এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা নীলোৎপল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ায় দু'জন মারা গিয়েছেন। তাই তাঁরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এমনকী জানালায় মশার জাল ব্যবহার করতে হচ্ছে । পরিস্থিতি এতটাই আতঙ্কের যে সারাদিন ঘরে মশারি টাঙিয়ে থাকতে হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রতে চিকিৎসক নিয়মিত আসেন না। কোনওপ্রকার টিকাও দেওয়া হয় না। আশাকর্মীরা এসে জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা সুস্থ রয়েছেন কি না। ব্যাস, দায়িত্ব শেষ ৷
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি দমনে হেলদোল নেই, নিজের টাকায় ফগিং মেশিন কিনলেন ময়নাগুড়ির নির্দল কাউন্সিলর
অন্য এক বাসিন্দা সোনালী দেব জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই হাসপাতালের বাইরে জল, ভিতরে জল, চারিদিকে আবর্জনা-জঙ্গল। গর্ভবতী মহিলারা আসতে পারেন না এখানে। জঙ্গল দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার হয় না, ড্রেনও অপরিষ্কার অবস্থায় বছরের পর বছর পরে রয়েছে। ব্লিচিং পাউডারও নর্দমায় দেওয়া হয় না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ওই এলাকার অপর এক বাসিন্দা মানসী আচার্য বলেন, "যদি নর্দমায় ডেঙ্গি মশার লার্ভা খাওয়ার জন্য গাপ্পি মাছ ছাড়া হয় তাহলে খুব উপকৃত হব।"
এ সম্পর্কে হাওড়ার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী (Minister of State for Sports)মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) জানান, বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া হবে। ওই এলাকার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে ৷ প্রশ্ন উঠছে খোদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশেপাশে যখন এমন পরিস্থিতি তাহলে জেলার মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আর প্রশাসনই বা কী করছে ?
আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা নবান্নর