ETV Bharat / state

দাসনগরে বাবার মৃতদেহ আগলে 2 দিন ধরে বসে যুবতি

বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে ৷ তারপরই ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে পাড়ার চোখের চিকিৎসকের ৷ তাঁর দেহ আগলে বসে রয়েছেন মেয়ে ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

author img

By

Published : Jun 11, 2020, 9:32 PM IST

মৃত চিকিৎসকের মেয়ে
মৃত চিকিৎসকের মেয়ে

দাসনগর, 11 জুন : কয়েকদিন আগে অসুস্থ ছিলেন বলে পাড়ার কয়েকজনকে জানিয়ে ছিলেন ৷ তারপর থেকেই আর খোঁজ নেই পাড়ার চোখের চিকিৎসক অমল মান্নার ৷ এদিকে, দু-একদিন আগে থেকে তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় । বিকট গন্ধে বাড়ির ধারে কাছেও আসা যেত না ৷ আজ খবর দেওয়া হয় দাসনগর থানার পুলিশকে ৷

স্থানীয়দের খবর মতো পাড়ায় এসে উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা ৷ তারপরই যাওয়া হয় অমল মান্নার বাড়িতে ৷ দরজা খুলেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ ও স্থানীয়দের ৷ পড়ে আছে চিকিৎসক অমল কৃষ্ণ মান্নার পচাগলা দেহ ৷ তাঁর মাথার কাছে বসে রয়েছেন একটি মেয়ে ৷ পরনে হলুদ জামা আর জিন্সের প্যান্ট ৷ চুল এলোমেলো ৷ মুখে হাসি নেই ৷ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন অমলবাবুর মুখের দিকে ৷ স্থানীয়রা জানালেন তিনি অমলবাবুর মেয়ে ৷

অমলবাবুর মেয়েকে বাইরে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ কথা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত ৷ কিন্তু, কীভাবে অমলবাবুর মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায়নি ৷ কোরোনা সংক্রমণে মৃত্যু কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে, দেহটি এখনও বাড়ি থেকে বের করতে পারেনি পুলিশ ৷ দেহটি খুব শীঘ্রই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে ৷

স্থানীয়দের বক্তব্য, কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন অমলবাবু ৷ তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বাড়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ অসুস্থতার কারণে অমলবাবু বাইরে কেনাকাটা করতেও যেতে পারতেন না ৷ এর ফলে অভুক্ত অবস্থাতেও তাঁর মৃত্যু হতে পারে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ পুলিশের অনুমান, ২-৩ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে অমলবাবুর । কেন বাবার মৃতদেহ এভাবে আগলে দু'দিনে ধরে বসেছিলেন তাঁর মেয়ে, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

ঘটনাটি যেন ফের উস্কে দিল রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার কথা ৷ সেখানও এভাবেই ছয় মাস আগে মৃত দিদির কঙ্কাল স্বযত্নে নিজের ঘরে রেখেছিলেন পার্থ দে ৷ মনোবিদরা বলছেন, এটা এক ধরনের মানসিক অসুখ ৷ এই অসুখে আক্রান্তরা কোনও ভ্রান্ত ধারণাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চান ৷

দাসনগর, 11 জুন : কয়েকদিন আগে অসুস্থ ছিলেন বলে পাড়ার কয়েকজনকে জানিয়ে ছিলেন ৷ তারপর থেকেই আর খোঁজ নেই পাড়ার চোখের চিকিৎসক অমল মান্নার ৷ এদিকে, দু-একদিন আগে থেকে তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় । বিকট গন্ধে বাড়ির ধারে কাছেও আসা যেত না ৷ আজ খবর দেওয়া হয় দাসনগর থানার পুলিশকে ৷

স্থানীয়দের খবর মতো পাড়ায় এসে উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা ৷ তারপরই যাওয়া হয় অমল মান্নার বাড়িতে ৷ দরজা খুলেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ ও স্থানীয়দের ৷ পড়ে আছে চিকিৎসক অমল কৃষ্ণ মান্নার পচাগলা দেহ ৷ তাঁর মাথার কাছে বসে রয়েছেন একটি মেয়ে ৷ পরনে হলুদ জামা আর জিন্সের প্যান্ট ৷ চুল এলোমেলো ৷ মুখে হাসি নেই ৷ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন অমলবাবুর মুখের দিকে ৷ স্থানীয়রা জানালেন তিনি অমলবাবুর মেয়ে ৷

অমলবাবুর মেয়েকে বাইরে নিয়ে আসে পুলিশ ৷ কথা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত ৷ কিন্তু, কীভাবে অমলবাবুর মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায়নি ৷ কোরোনা সংক্রমণে মৃত্যু কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে, দেহটি এখনও বাড়ি থেকে বের করতে পারেনি পুলিশ ৷ দেহটি খুব শীঘ্রই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে ৷

স্থানীয়দের বক্তব্য, কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন অমলবাবু ৷ তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বাড়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ অসুস্থতার কারণে অমলবাবু বাইরে কেনাকাটা করতেও যেতে পারতেন না ৷ এর ফলে অভুক্ত অবস্থাতেও তাঁর মৃত্যু হতে পারে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ পুলিশের অনুমান, ২-৩ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে অমলবাবুর । কেন বাবার মৃতদেহ এভাবে আগলে দু'দিনে ধরে বসেছিলেন তাঁর মেয়ে, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

ঘটনাটি যেন ফের উস্কে দিল রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার কথা ৷ সেখানও এভাবেই ছয় মাস আগে মৃত দিদির কঙ্কাল স্বযত্নে নিজের ঘরে রেখেছিলেন পার্থ দে ৷ মনোবিদরা বলছেন, এটা এক ধরনের মানসিক অসুখ ৷ এই অসুখে আক্রান্তরা কোনও ভ্রান্ত ধারণাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চান ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.