হাওড়া, 18 এপ্রিল: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 2 লক্ষ 70 হাজার পেরিয়েছে । উদ্বেগ ও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লি, রাজস্থান ও মুম্বইয়ে । সংক্রমণের তীব্রতা এতটাই যে মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু । এরপরও পরিস্থিতি অবনতির দিকেই যাচ্ছে ৷ শোনা যাচ্ছে, সেখানে রাজ্যজুড়ে নতুন করে লকডাউন করার ভাবনা চিন্তা করছে মহারাষ্ট্র সরকার । এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই রাজ্য থেকে রুটিরুজির সন্ধানে মুম্বই পাড়ি দেওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা । গতবারের লকডাউনের আতঙ্ক-অপমান-হেনস্থা যেন পিছু ছাড়ছে না ৷ সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁরা কার্যত পালিয়ে আসছেন ৷
রবিবার হাওড়া স্টেশনে দেখা গেল অনেক পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরতে ৷ বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত এইসব শ্রমিকরা সেইসব জায়গার কাজ ছেড়ে চলে আসছেন ৷ নিজেরাই ব্যবস্থা করে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা ৷ এখন কাজের ঠিক নেই ৷ জানেন না আগামীতে কী করে পেট চালাবেন ৷
পাশাপাশি রাজ্যে ৮ দফার নির্বাচন চলাকালীন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বসিয়েছে । প্রতিদিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা । হাওড়া শহর ও গ্রামীণে করোনা সংক্রমণে বাড়ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার ছুঁইছুঁই ৷ হাওড়া জেলাতেই মোট সংক্রামিতের সংখ্যা প্রায় 2,600 । রবিবার হাওড়া স্টেশনে মহারাষ্ট্র থেকে ট্রেনে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখা মিলল । দেশের পরিস্থিতি আরও জটিল হলে অন্যান্য রাজ্য থেকেও আসতে শুরু করবেন পরিযায়ীরা ৷
রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ রাজ্য ছেড়ে অন্যান্য রাজ্যে আছেন কর্মসংস্থানের জন্য । সবাই একসঙ্গে রাজ্যে ফিরে এলে কীভাবে তাঁদের সবার কর্মসংস্থান সুরক্ষিত করবে রাজ্য সরকার তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।
ভিনরাজ্য থেকে যাত্রী রাজ্যে ফিরছেন ৷ তবে হাওড়া স্টেশনে দেখা গেল না আগের মতো থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা ৷ গতবারের মতো যদি সংক্রমণ বাড়ে তাহলে দায়িত্ব কে নেবে বা তার ব্যবস্থা কী হবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ।