কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : এক বহুজাতিক সংস্থার ঠিকাদারের রহস্যমৃত্যর ঘটনা ঘটল হাওড়ার বাগনানে । জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া এলাকার একটি নামী কোম্পানির ঠিকাদার ছিলেন বাগনানের নহলার বাসিন্দা তাপস মান্না । পাশাপাশি এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মীও ছিলেন তিনি । গত শনিবার দুপুর 2 টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না । অবশেষে হাওড়া হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পান পরিবারের লোকজন ।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত বাবা । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট কারখানার অন্য এক কন্ট্রাক্টর সত্যজিৎ গুছাইতের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাপস । দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় রাত 10 টা নাগাদ পরিবারের লোকজন তাঁকে ফোন করলে তাপস জানান, তিনি সত্যজিৎ ও তাঁর ভাই বিশ্বজিতের সঙ্গে আছেন । তার পর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি ।
আরও পড়ুন : Howrah Nursing Home : রক্তের গ্রুপ বদলে দেওয়ার অভিযোগ হাওড়ার নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে
তারপরেই আত্মীয়স্বজনদের ফোন করেও তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে বাগনান থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন । রবিবার দুপুরে সত্যজিৎকে ফোন করলে তিনি জানান, আহত অবস্থায় তাপসকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখানেই তাঁর (তাপস) মৃত্যু হয়েছে ।
পরে বিভিন্ন সূত্র মারফত তাঁরা জানতে পারেন উলুবেড়িয়া থানার ফকির পাড়ার কাছে 16 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের লোহার রেলিংয়ে অদ্ভুত অবস্থায় পড়েছিলেন তাপস মান্না । কিন্তু কে বা কারা তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে গেল, তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি ।
আরও পড়ুন : Chintai : ব্যস্ত রাস্তায় চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ছিনতাই, ছবি ধরা পড়ল সিসিটিভিতে
ঘটনাস্থলের কাছেই উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল থাকতেও কেন এত দূরের হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল, প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন । তাঁদের দাবি, কোনও দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাপস মান্নাকে ।
তাঁদের আরও অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই কাজ নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন তাপস । তাঁর মৃত্যুর পিছনে সত্যজিৎ ও বিশ্বজিতের হাত রয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই রহস্যমৃত্যু নিয়ে বাগনান থানায় অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।