ETV Bharat / state

মায়ের বয়ানে কিনারা, খোঁজ মিলল 'আসল' বাবার

3 দাবিদারের মধ্যে আসল বাবা কে? এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ঘনীভূত হয়েছিল রহস্য । অবশেষে গতকাল স্বপ্নার বয়ানে কিনারা হল এই রহস্যের ৷ তিনি স্বীকার করেন, তাঁর সন্তানের বাবা হর্ষ ক্ষেত্রী ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 24, 2019, 1:36 PM IST

কলকাতা, 24 জুলাই : বাবার দাবিদার তিন হলেও আসল বাবা কে? এই প্রশ্ন জেরবার হয়েছিল বাঘাযতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ৷ অবশেষে মায়ের বয়ানে কিনারা হল শিশু কন্যার বাবার পরিচয় ৷

ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার ৷ প্রসব বেদনা নিয়ে ওই হাসপাতালে স্বপ্না মৈত্রকে ভরতি করান দীপঙ্কর পাল নামে এক যুবক । তিনি নিজেকে স্বপ্নার স্বামী হিসেবে পরিচয় দেন । সেই সময় স্বপ্নার সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন । তিনি নিজেকে স্বপ্নার মা বলে পরিচয় দেন । গত রবিবার সুস্থ ও স্বাভাবিক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্বপ্না । স্বাভাবিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতর বাবা হিসেবে দীপঙ্কর পালের নামই নথিভুক্ত করে ।

গোলবাধে তারপর থেকেই ৷ রবিবার বিকেলে এক যুবক স্বপ্না মৈত্রকে দেখতে আসেন । হাসপাতাল কর্মীরা তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে স্বপ্নার স্বামী বলে পরিচয় দেন । এবং দাবি করেন স্বপ্নার সন্তানের বাবা তিনি । তাঁর কথা শুনে হকচকিয়ে যান হাসপাতাল কর্মীরা । তাঁকে স্বপ্নার সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । পুলিশের এসে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে । তাঁর নাম হর্ষ ক্ষেত্রী । বাড়ি নিউটাউন । এরপর পুলিশ দীপঙ্করকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে । দীপঙ্কর স্বপ্না মৈত্রর সঙ্গে বিয়ের শংসাপত্র দেখান পুলিশকে । এদিকে, হর্ষ ক্ষেত্রী পুলিশের সামনে দাবি করেন তিনিও বিয়ের শংসাপত্র দেখাতে পারবেন ।

রহস্য আরও ঘনীভূত হয় তৃতীয় যুবকের উপস্থিতিতে । সোমবার বিকেলে প্রদীপ রায় নামে এক যুবক ওই হাসপাতালে এসে স্বপ্না মৈত্রর সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করেন । সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয় । পুলিশ এসে প্রদীপ রায় নামে ওই যুবককে জেরা করে । ঘটনার রহস্য বাড়ায় স্বপ্নার নীরবতা । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিজ়ারিয়ান বেবি হয়েছে তাঁর । তাই শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তাঁকে বেশি চাপ দিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা । হাসপাতালের সেবিকারা স্বপ্নার কাছে তাঁর সন্তানের পিতৃ-পরিচয় জানতে চান । তবে, তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানান তাঁরা । অবশেষে গতকাল পুলিশের কাছে স্বপ্না স্বীকার করে , তাঁর সন্তানের পিতা হর্ষ ক্ষেত্রী ৷ নানা পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি হর্ষের সঙ্গে থাকছিলেন না । তাই এই বিষয়গুলির সঙ্গে হর্ষকে তিনি জড়াতে চাননি । এই কারণে, তাঁর বন্ধু দীপঙ্কর তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করান ।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ এই নবজাতক এবং তার মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে । ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে এই শিশুর বাবা হিসাবে থাকছে হর্ষের নাম । গতকাল নবজাতকের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়েছে হর্ষকে । তবে, ভরতি করানোর সময় দীপঙ্কর কেন স্বপ্নার স্বামী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি । অন্যদিকে, তৃতীয় দাবিদার প্রদীপ রায় নামের ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশ যেহেতু বলে দিয়েছে হর্ষ ক্ষেত্রী এই শিশুর বাবা, সেই জন্য এদিন নবজাতকের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে হর্ষকে ।

কলকাতা, 24 জুলাই : বাবার দাবিদার তিন হলেও আসল বাবা কে? এই প্রশ্ন জেরবার হয়েছিল বাঘাযতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ৷ অবশেষে মায়ের বয়ানে কিনারা হল শিশু কন্যার বাবার পরিচয় ৷

ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার ৷ প্রসব বেদনা নিয়ে ওই হাসপাতালে স্বপ্না মৈত্রকে ভরতি করান দীপঙ্কর পাল নামে এক যুবক । তিনি নিজেকে স্বপ্নার স্বামী হিসেবে পরিচয় দেন । সেই সময় স্বপ্নার সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন । তিনি নিজেকে স্বপ্নার মা বলে পরিচয় দেন । গত রবিবার সুস্থ ও স্বাভাবিক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন স্বপ্না । স্বাভাবিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতর বাবা হিসেবে দীপঙ্কর পালের নামই নথিভুক্ত করে ।

গোলবাধে তারপর থেকেই ৷ রবিবার বিকেলে এক যুবক স্বপ্না মৈত্রকে দেখতে আসেন । হাসপাতাল কর্মীরা তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে স্বপ্নার স্বামী বলে পরিচয় দেন । এবং দাবি করেন স্বপ্নার সন্তানের বাবা তিনি । তাঁর কথা শুনে হকচকিয়ে যান হাসপাতাল কর্মীরা । তাঁকে স্বপ্নার সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । পুলিশের এসে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে । তাঁর নাম হর্ষ ক্ষেত্রী । বাড়ি নিউটাউন । এরপর পুলিশ দীপঙ্করকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে । দীপঙ্কর স্বপ্না মৈত্রর সঙ্গে বিয়ের শংসাপত্র দেখান পুলিশকে । এদিকে, হর্ষ ক্ষেত্রী পুলিশের সামনে দাবি করেন তিনিও বিয়ের শংসাপত্র দেখাতে পারবেন ।

রহস্য আরও ঘনীভূত হয় তৃতীয় যুবকের উপস্থিতিতে । সোমবার বিকেলে প্রদীপ রায় নামে এক যুবক ওই হাসপাতালে এসে স্বপ্না মৈত্রর সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করেন । সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয় । পুলিশ এসে প্রদীপ রায় নামে ওই যুবককে জেরা করে । ঘটনার রহস্য বাড়ায় স্বপ্নার নীরবতা । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিজ়ারিয়ান বেবি হয়েছে তাঁর । তাই শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তাঁকে বেশি চাপ দিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা । হাসপাতালের সেবিকারা স্বপ্নার কাছে তাঁর সন্তানের পিতৃ-পরিচয় জানতে চান । তবে, তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানান তাঁরা । অবশেষে গতকাল পুলিশের কাছে স্বপ্না স্বীকার করে , তাঁর সন্তানের পিতা হর্ষ ক্ষেত্রী ৷ নানা পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি হর্ষের সঙ্গে থাকছিলেন না । তাই এই বিষয়গুলির সঙ্গে হর্ষকে তিনি জড়াতে চাননি । এই কারণে, তাঁর বন্ধু দীপঙ্কর তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করান ।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ এই নবজাতক এবং তার মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে । ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে এই শিশুর বাবা হিসাবে থাকছে হর্ষের নাম । গতকাল নবজাতকের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়েছে হর্ষকে । তবে, ভরতি করানোর সময় দীপঙ্কর কেন স্বপ্নার স্বামী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি । অন্যদিকে, তৃতীয় দাবিদার প্রদীপ রায় নামের ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশ যেহেতু বলে দিয়েছে হর্ষ ক্ষেত্রী এই শিশুর বাবা, সেই জন্য এদিন নবজাতকের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে হর্ষকে ।

Intro:কলকাতা, ২৩ জুলাই: পুলিশের কাছে মায়ের বয়ানের জেরে, কিনারা হল এক শিশুকন্যার বাবার পরিচয়। যার জেরে, এই নবজাতকের পিতৃ পরিচয় নিয়ে হাসপাতালে তিন যুবকের হাজির হওয়ার রহস্যের কিনারা হল। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে এই শিশুকন্যার মা স্বপ্না মৈত্র স্বীকার করেছেন, নিউ টাউনের বাসিন্দা হর্ষ ক্ষেত্রী তাঁর সন্তানের বাবা। এ দিকে, হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগামীকাল, বুধবার এই নবজাতক এবং তার মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে। ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে এই শিশুর বাবার নাম হিসাবে থাকছে হর্ষর নাম। মঙ্গলবার নবজাতকের সঙ্গে হর্ষকে দেখা করতেও দেওয়া হয়েছে।
Body:এই ঘটনা বাঘাযতীনের বেসরকারি একটি হাসপাতালের। গত শনিবার স্বপ্না মৈত্রকে এই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, এই প্রসূতি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় স্বপ্নার স্বামী হিসাবে পরিচয় দেন স্থানীয় রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা দীপঙ্কর পাল। গত রবিবার এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন স্বপ্না। বিষয়টি জানতে পেরে নিউটনের হর্ষ ক্ষেত্রী হাসপাতালে এসে দাবি করেন, তিনি এই নবজাতকের বাবা। আতান্তরে পরেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তাঁরা জানান পুলিশকে। জানা গিয়েছে, স্বপ্না মৈত্র তাঁর স্ত্রী, এর প্রমাণপত্র হিসাবে ম্যারেজ সার্টিফিকেট পেশ করেন হর্ষ ক্ষেত্রী।

কিন্তু, গোল বাঁধে পরের দিন। প্রদীপ রায় নামের এক ব্যক্তি হাজির হন ওই হাসপাতালে। তিনিও এই শিশুকন্যার বাবা বলে দাবি করেন। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, তৃতীয় এই ব্যক্তির বিষয়ে অফিশিয়ালি হাসপাতালের কাছে কোনও তথ্য নেই। এই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জেনেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শিশুর পিতৃ পরিচয় নিয়ে এমন সমস্যা দেখা দেওয়ায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে মঙ্গলবার স্বপ্না স্বীকার করেন, হর্ষ ক্ষেত্রী তাঁর সন্তানের বাবা। সমস্যার কারণে হর্ষ ক্ষেত্রীর সঙ্গে তিনি থাকছিলেন না। এর পরের বিষয়গুলির সঙ্গে হর্ষকে তিনি জড়াতে চাননি। এই কারণে, তাঁর বন্ধু দীপঙ্কর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন।Conclusion:তবে, ভর্তি করানোর সময় দীপঙ্কর কেন স্বপ্নার স্বামী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে, তৃতীয় দাবিদার প্রদীপ রায় নামের ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে, বিষয়টি পুলিশ দেখছে বলে জানানো হয়েছে। তবে, হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশ যেহেতু বলে দিয়েছে হর্ষ ক্ষেত্রী এই শিশুর বাবা, সেই জন্য এদিন নবজাতকের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে হর্ষকে। স্বপ্নাকে যে ব্যক্তি ভর্তি করিয়েছিলেন, তাঁকে স্বপ্নার মায়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল। তবে, এখন আর তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালে।
_____

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.