ETV Bharat / state

শহিদ জওয়ান বাবলুর পরিবারকে ৫ লাখ টাকার চেক রাজ্যের

কাশ্মীর হামলায় শহিদ জওয়ান বাবলু সাঁতরার পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

author img

By

Published : Feb 22, 2019, 6:23 AM IST

বাবলু সাঁতরার মায়ের হাতে চেক তুলে দিচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা

হাওড়া, ২২ ফেব্রুয়ারি : রাজ্য সরকারের তরফে কাশ্মীরে শহিদ CRPF জওয়ান বাবলু সাঁতরার পরিবারকে ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হল। গতকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় বাবলু সাঁতরার বাড়িতে যান। তাঁরা শহিদের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এমন কী বাবলু সাঁতরার স্ত্রীকে রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

দেখুন ভিডিয়ো

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার শহিদ পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি ও ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারপর গতকাল বিকেলে সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলক রায় ওই শহিদ পরিবারের বাড়িতে পৌঁছে যান। তাঁরা বাবলু সাঁতরার মা বনমালা সাঁতরার হাতে ৫ লাখ টাকার চেকটি তুলে দেন। তাঁদের কোনও রকম সমস্যা আছে কি না তা রাজীববাবুরা জানতে চান। মিতার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও অগ্রাধিকার আছে কি না।

মিতা সাঁতরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর। তিনি জানান, যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁকে যে কাজ দেওয়া হবে তিনি সেই কাজই করতে রাজি আছেন। তবে যেহেতু তাঁর ছয় বছরের একটি শিশুকন্যা এবং বৃদ্ধা শাশুড়ি আছেন তাই তাঁদের কথা ভেবে সরকার যদি তাঁকে স্থানীয় কোনও এলাকায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে তাঁরা সকলেই উপকৃত হবেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন, স্থানীয় এলাকাতে তাঁর চাকরির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিধায়ক পুলক রায় সব সময় তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মিতাকে তাঁর বায়োডাটা পুলক রায়ের হাতে দিতে বলা হয়।

undefined

অরূপ রায় বলেন, ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে শহিদ বাবলু সাঁতরার মা বনমালা সাঁতরার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনই তিনি এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই মতো তাঁরা বাবলুর মায়ের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এবং তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথা সরকারি ভাবে জানাতে আসেন।

হাওড়া, ২২ ফেব্রুয়ারি : রাজ্য সরকারের তরফে কাশ্মীরে শহিদ CRPF জওয়ান বাবলু সাঁতরার পরিবারকে ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হল। গতকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় বাবলু সাঁতরার বাড়িতে যান। তাঁরা শহিদের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এমন কী বাবলু সাঁতরার স্ত্রীকে রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

দেখুন ভিডিয়ো

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার শহিদ পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি ও ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারপর গতকাল বিকেলে সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলক রায় ওই শহিদ পরিবারের বাড়িতে পৌঁছে যান। তাঁরা বাবলু সাঁতরার মা বনমালা সাঁতরার হাতে ৫ লাখ টাকার চেকটি তুলে দেন। তাঁদের কোনও রকম সমস্যা আছে কি না তা রাজীববাবুরা জানতে চান। মিতার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও অগ্রাধিকার আছে কি না।

মিতা সাঁতরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর। তিনি জানান, যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁকে যে কাজ দেওয়া হবে তিনি সেই কাজই করতে রাজি আছেন। তবে যেহেতু তাঁর ছয় বছরের একটি শিশুকন্যা এবং বৃদ্ধা শাশুড়ি আছেন তাই তাঁদের কথা ভেবে সরকার যদি তাঁকে স্থানীয় কোনও এলাকায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে তাঁরা সকলেই উপকৃত হবেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন, স্থানীয় এলাকাতে তাঁর চাকরির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিধায়ক পুলক রায় সব সময় তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মিতাকে তাঁর বায়োডাটা পুলক রায়ের হাতে দিতে বলা হয়।

undefined

অরূপ রায় বলেন, ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে শহিদ বাবলু সাঁতরার মা বনমালা সাঁতরার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনই তিনি এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই মতো তাঁরা বাবলুর মায়ের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এবং তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথা সরকারি ভাবে জানাতে আসেন।

ভারতবর্ষে উপনিবেশ স্থাপন করে ডেনিস রা। শ্রীরামপুরে গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল দূরে অঞ্চল জুড়ে তৈরি হয়েছিল এই উপনিবেশ। সেই সময় তৈরি হওয়া স্থাপত্য কালের নিয়মে ধ্বংস হতে শুরু করেছিল। বর্তমান সরকারের পর্যটন বিভাগ হেরিটেজ কমিশন ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং ডেনমার্ক গভমেন্ট এর
 সহযোগিতায় পুনরুজ্জীবন পাচ্ছে এই ঐতিহ্য গুলি।সেই তৈরি হওয়া গভর্ণর হাউস প্যাগোডা ও ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ সহ একাধিক ঐতিহাসিক জিনিস।যার মধ্যে ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ টি অতি সুসজ্জিত করে। মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতার পার্ক হোটেল লীজের ভিত্তি নিয়ে রেস্টুরেন্ট ও হোটেলের খোলার ব্যবস্থা করছে।নতুন করে সেই ভাস্কর্যকে ফিরে আনা হয়েছে।রাজ্য সরকারের হেরিটেজ দপ্তর,টুরিজিম দপ্তর ও ডেনমার্ক সরকারের আর্থিক আনুকূল্যে তৈরি করা হয়েছে ।
1755 সালে ডেনিসরা ব্যবসার জন্য শ্রীরামপুরে আসে।এখানে তাদের 90 বছর উপনিবেশ ছিল।নবাব সিরাজ দৌলার আমলেও তাদের ব্যবসা বড় আকার নেয়।এই শ্রীরামপুরে ডেনিস গভর্নর হাউস,চার্চ,কোর্ট ও ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ হোটেল কফি হাউস তৈরি হয়।এর পরই শ্রীরামপুরে উইলিয়াম কেরী,মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড তিনজন মিলে শ্রীরামপুর মিশনের সৃষ্টি করেন।সেই সময়েই স্কুল ,কলেজ,কাগজের পুস্তক মুদ্রণ করা হয় এই শ্রীরামপুরে।
গঙ্গার পাড়ে জেমস পার নামে এক ইংরেজ ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ ও হোটেল চালু করেন।সেই সময় দ্যা ক্যালকাটা গেজেটে  বিজ্ঞাপন দেওয়ায় হয় নদী পথে ভ্রমণ পথে শ্রীরামপুরে হোটেল ব্যবস্থা আছে।যেখানে রাতে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা থাকবে।তাছাড়া ও পানশালা,কফিঘর ও দৈনিক সংবাদ পত্র  সব কিছুই পাওয়া যাবে এখানে।
পরবর্তীকালে অবশ্য ডেনিসদের হাত থেকে শ্রীরামপুর ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানীর হাতে চলে যায়।সেই সব অট্টালিকা কালক্রমে ধ্বংস হতে শুরু করে।ডেনমার্ক ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায়  2015 থেকে 2018 সালে এই ডেনিস হাউস গুলি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়।বর্তমানে ডেনিস গভর্নর হাউস সমেত শ্রীরামপুরে গঙ্গার তীরবর্তী টাউন স্কয়ার তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার ।এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টাকা।সারা বছরই এখানে বহু মানুষ ছুটে আসছে এই ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলি ঘুরে দেখতে।তার সঙ্গে ডেনিস আমলের সেই আস্বাদ নিতে ডেনিস হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কফি হাউসে হাজির হচ্ছে।
ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ এ ঘুরতে এক অধ্যাপক দীপঙ্কর ঘোষ বলেন এই ট্যাভার্ণ টি অষ্টাদশ শতাব্দীর।যখন এখানে ডেনমার্কের কলনী ছিল।তৎকালীন সময়ে শ্রীরামপুরের নাম ছিল ফ্রেডেরিকনগর (federicknagore)।সেই সময় জসুয়া মার্শম্যান ও ইউলিয়াম ওয়ার্ড এসে এখানেই উঠেছিলেন।দু রাত্রির এখানে কাটিয়ে ছিলেন।তারপরই শ্রীরামপুরে কলেজ ও বিশাল কর্মকাণ্ড হয়।আমি অনেক দিন ধরেই শুনেছি এটা হয়েছে।কিন্তু আসা হয়নি আজ তাই এসেছি।ডেনমার্কের রাজা ফ্রেডেরিকের নামেই এই উপনিবেশ স্থাপন করা হয়েছিল।শ্রীরামপুরের রাজার কাছে তিনটি গ্রাম নিয়ে দিনেমাররা এই কলনীটি তৈরি করেছিলেন।শ্রীরামপুর কলেজের প্রতিষ্টাতা ইউলিয়াম কেরী যখন এসেছিলেন কলকাতায়। তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানী তখন কোনো মিশনারী ঢুকতে দেননি।মিশনারী কার্যকলাপ ভালো চোখে দেখতেন না ব্রিটিশরা।তখন ডেনমার্কের রাজা তাদের আশ্রয় দেন। উইলিয়াম কেরি আশ্রয় পেয়েছিলেন বলেই শ্রীরামপুর মিশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্ভব হয়েছিল। তার ফলেই বাংলার গদ্য রূপের সৃষ্টি হয়।বই ছাপা ও সংবাদপত্রের সূচনা এই শ্রীরামপুর থেকেই হয়েছিল। আজকে যদি দিনেমারা আশ্রয় না দিতেন তাহলে এটা সম্ভব হতো না সেই কারণেই শ্রীরামপুর পাশ্চাত্যের শিক্ষায়-দীক্ষায় দ্বীপের মতো তৈরি হয়েছিল। ডেনমার্কে ট্যাভার্ণ পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। আমাদের দেশে ঝাঁ চকচকে শপিং মলের কালচার থেকে বেরিয়ে এসে পুরানো কড়িবর্গা টাকে রাখা হয়েছে এখানে।এতে আমাদের খুব ভালো লাগছে।
উত্তর 24 পরগনা থেকে ঘুরতে আসা মহুয়া গাঙ্গুলি বলেন আমার বন্ধুরা যেকোনো পুরানো জিনিস দেখতে অনেক জায়গা যাই।এখানে ভালো লাগছে পুরনো কে রেখেই নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে।আদি উপনিবেশের মনোরজনের জায়গাকে ভালো ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে।ঐতিহাসিক পরিবেশটা কে বজায় রেখেছে।
শ্রীরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলার সন্তোষ কুমার সিং বলেন ডেনিস উপনিবেশের স্থাপত্য শ্রীরামপুরে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছিল।2009 সাল থেকে রাজ্য সরকার ও ডেনমার্কের সরকারের প্রচেষ্টায় ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ তৈরির প্রচেষ্টা।1786 সালে যেমন ছিল সেই রকমই রূপ দেওয়া হয়েছে।সেই সময়কার ইমারতি বস্তু দিয়েই এই স্থাপত্য গুলি তৈরি করা হয়েছে।এখানে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের মানুষ এখানে আসছেন।এমনকি বহু বিদেশি পর্যটক ও ঘুরে যাচ্ছেন।পার্ক হোটেলের পক্ষ থেকে ঢেলে সাজানো কথা ও জানা গেছে এখানে।

শ্রীরামপুরের মহকুমার শাসক তনয় দেব সরকার এই স্থাপত্য নিয়ে তিনি বলেন ডেনমার্ক ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশন, রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এবং পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে।এখানে সেন্ট্রাল চার্চ ও ডেনমার্ক ট্যাভার্ণ নতুন করে সাজানো হয়েছে। 1786 সালে যেরকম রেস্তোরাঁ ছিল সেই অনুকরণেই ছটি শয্যাবিশিষ্ট হোটেল তৈরি করা হয়েছে ।পার্ক হোটেল লিজ নিয়ে তলায় একটি রেস্টুরেন্টে চালু করেছে। এই রেস্তোরাঁকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে তলায় থাকবে চা পান ও খাবার ব্যবস্থা।উপরে থাকবে পর্যটকদের জন্য থাকার  ব্যবস্থা।গভর্নর হাউসে ও নতুন ভাবে সেজে উঠছে।যেখানে পুরসভা তরফে দেখা শোনা করা হচ্ছে।গভর্নর হাউসে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অফিসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।সেই সময়কার ইতিহাস নিয়ে ডেনমার্ক মিউজিয়াম থেকে এখানে একটি প্রদর্শনী শালা তৈরি করা হবে।ডেনিস প্যাগোডা কেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।ডেনিস গভর্নর হাউসের চারপাশে কোর্ট, মহকুমা অফিস সহ ডেনিস স্থাপত্যের  সমস্ত অংশকে নিয়ে টাউন স্কয়ার তৈরি করা হবে।
পলাশ

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.